আমার ব্লগ তালিকা

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১১

স্বর্ণা হত্যার ঘটনাটি নির্মম, পৈশাচিক এবং বর্বরতাকেও হার মানায়

পাবনা, ২৪ জানুয়ারীঃ ঘটনাটি নির্মম এবং পৈশাচিক। মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। ঘটনাটি যে দেখেছে সেই কেদেঁছে। নির্মম এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদীর দিয়ারবাঘাইল গ্রামে। স্বর্ণা খাতুন নামে এস এসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষনের পর হাত পা ভেঙ্গে এবং চোখ উঠিয়ে হত্যা করে তার লাশ একটি মেহগনি গাছের ডালের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছিল সন্ত্রাসীরা। এলাকাবাসির খবওে, পুলিশ  সোমবার সকালে মেহগনী গাছের ডালে তার ঝুলন্তô লাশ উদ্ধার করে। স্বণার লাশ দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, ঈশ্বরদীর দিয়ারবাঘাইল গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষাথী স্বর্ণা খাতুন (১৫) কে রোববার রাত ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর পাষণ্ডরা ধর্ষনের পর হাত তার পা ভেঙ্গে এবং ডান চোখ উঠিয়ে তাকে হত্যা করে লাশটি বাড়ী থেকে প্রায় ২শ’ গজ দুরে একটি মেহগনি গাছের ডালের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। সারা রাত বাড়ীর লোকজন স্বর্ণাকে ব্যাপক খোঁজাখুজি করতে থাকে। অবশেষে গতকাল সোমবার সকাল ৯ টায় রোজিনা নামের এক প্রতিবেশী স্বর্ণার ঝুলন্তô লাশ দেখে চিৎকার করলে তার বাবা মা স্বর্ণার ক্ষত বিক্ষত লাশ দেখতে পায়। স্বর্ণার  শরীরে অসংখ্য ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
স্বর্ণার বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, তার মেয়েকে একই গ্রামের পলান শেখের ছেলে আনোয়ার বিয়ে করতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখছে।
এ ব্যাপাওে, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামিউল আলম জানান, স্বর্ণার পরিবারের কথা শুনে মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ডটি প্রেমঘটিত কারণেই হয়েছে। তবে, তদন্ত করে বিষয়টি পরিস্ড়্গার বলা যাবে। পুলিশ সোমবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত kর পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে স্বর্ণার বাবা শহিদুল ইসলাম থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন