আমার ব্লগ তালিকা

মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১০

জয়পুরহাটে তরুণী উত্যক্ত প্রতিরোধে মার্শাল-আর্ট প্রশিক্ষণ


Rqcyinv‡U ÔZi“Yx D˨³ cÖwZ‡iv‡a gvk©vj-AvU© cÖ‡qvMÕ wel‡q GK cÖwk¶Y Kg©kvjvi D‡Øvab Kiv n‡q‡Q| G mgq e³viv e‡jb, ÔBfwUwRs GKwU mvgvwRK e¨vax| ZvB, ïay AvBb K‡i bq, BfwUwRs cÖwZ‡iv‡a cvwievwiK I mvgvwRK m‡PZbZv e„w×i cvkvcvwk bvix‡`i‡K Av‡iv cÖwZev`x nIqvi Avnevb Rvbvb e³viv|

g½jevi `ycy‡i Avj‡niv GKv‡Wgx cÖv½‡b IB cÖwk¶Y Kg©kvjvi D‡Øvabx Abyôv‡b e³e¨ iv‡Lb- cywjk mycvi †gvRv‡¤§j nK, evsjv‡`k Ry‡Wv †dWv‡ik‡bi mn mfvcwZ Avãyj Kvw`i, ‡Rjv AvÕjx‡Mi mn mfvcwZ Aa¨¶ LvRv mvgmyj Bmjvg cÖgyLmn Ab¨vb¨iv|

বখাটের উৎপাতে ভোলায় এবার মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা

এবার বখাটের উপাতে ভোলায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে  গত সপ্তাহের রোববার নিজ ঘরে ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে জাকিয়া বেগম (১৭) নামের ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করে জাকিয়া তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কেয়ামুল্যা গ্রামের সফিউল্ল মিস্ত্রির মেয়েসে চাঁদপুর ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার আলেম ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল  নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে এলাকার বখাটে মুরাদ তাকে উত্ত্যক্ত করতবিষয়টি মুরাদের অভিভাবককে জানানো হলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে  এ অবস্থায় জাকেয়ার পরিবার তার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়এতে, মুরাদ জাকিয়ার বিরুদ্ধে নানা কুসা রটানোর হুমকি দেয়  তজুমদ্দিন থানার ওসি আব্দুর রশিদ ভূইয়া বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছেমামলার প্রস্তুতি চলছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, মেয়েটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে  প্ররোচণাকারী মুরাদ পলাতক রয়েছে বলেও তিনি জানান নিহতের ভাই ইউসুফ হোসেন বলেন, "বখাটের উপাতের কারণে জাকিয়ার পড়ালেখা বন্ধ করে বিয়ে ঠিক করেছিকিন্তু তাতেও মুরাদের উপাত বন্ধ হয়নিসে আমার বোনকে বাঁচতে দিল না।"

বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১০

একাধিক প্রেম ও সহিংসতা

রাজধানীতে অনেক মেয়েরাই একইসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক প্রেম। মেয়েদের প্রতি পুরুষের দূর্বলতার সুযোগটাই গ্রহণ করছে তারা। সবার কাছে তারা যেন এক নি:ষ্প্রাপ নারী। সবার কাছ থেকেই সুযোগ ও সুবিধা নিয়ে থাকে তারা। এক্ষেত্রে, তারা আশ্রয় নেয় মিথ্যা আর ছলনার। আর এরকম মেয়েদের পাল্লায় পড়ে অনেক সরল ছেলেরা হারায় তাদের সময় আর অর্থ। অনেক সময় মেয়েদের ছলনার এসব খবর জানতে পেরে মেয়েদেরকে হত্যা পর্যন্ত করে ফেলে কেউ কেউ। কয়েকটি ঘটনার মাধ্যমে তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো—
একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেম ছিল আসমা আক্তার মণির। চাঁদপুর সরকারি থেকে ১ম বর্ষ শেষ করে তিতুমীর কলেজে ২য় বর্ষে ভর্তি হয় মণি। নানা ছলচাতুরিতে বশে রাখে অনেককে। ঢাকায় আসার আগেই চাঁদপুর থাকতেই প্রেম করেছে অনেকের সাথে। আর ঢাকায় আসা চাকরীর সুবাধে। আর এখানে এসেও চালায় একাধিক পুরুষের সাথে প্রেম।  একেক সময় সে একেক জন নিয়ে ডেটিং করতো। চাকুরীতে আসা যাওয়া ও কলেজের আসা-যাওয়ার পথে তাকে সঙ্গ দেয় বিভিন্ন পুরুষ। সবার কাছ থেকে সে বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা আদায় করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুড়ুয়া ছেলে ইমনকে এরইমধ্যে কাবু করে ফেলেছে সে। ছেলের বাড়ি অন্য জেলায়। তাতে কি? তার কাছ থেকে সুযোগ নেয়া তো যাবে—এমন চিন্তা মণির।
হোস্টেলের বান্ধবীর বয় ফেন্ড লিটনের এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয় মণির। তার সাথেও চলে মণির ভাব। কিন্তু, কোন এক দিন ড্রিংস করার কারণে তাদের সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।
এ ঘটনায় ইমনের সাথেও কিছুটা সম্পর্ক টান পড়ে মণির। এমন সময় হঠাৎ ফেসবুকে ইমনের লিস্টের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছেলে রিয়েলের সাথে। ছেলে হ্যান্ডসাম বলে তার সাথে আবার মণি শুরু করে প্রেম। এবার তাকে বলে আমি তোকে বিয়ে করবো। কিন্তু, রিয়েল, ইমনের বন্থু হওয়ায়, কয়েক দিন মণির সাথে যাতায়াতের খবর জানতে পারে ইমন। পরে, ইমন সব জানায় বন্ধু রিয়েলকে। পরে রিয়েল সরে আসে মণির কাছ থেকে।
এ অবস্থায় মণির সাথে পরিচয় ঘটে রিয়েলের আরেক বন্ধু চাঁদপুরের পলাশ। পলাশকে কিছুটা তথ্য জানায়-ইমন তোর এলাকার মেয়ে ঢাকা এসে সবার সাথে প্রেম করে বেড়াচ্ছে। এমন সব করছে। এ সুযোগ নেয় পলাশ। ইমনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মণির সাথে এবার নিজেই প্রেম শুরু করে পলাশ। বাড়িতে যাওয়া-আসার সময় লঞ্চের কেবিনে করে যাতায়াত করে তারা। হঠাৎ এসব জেনে যায় ইমন। চটে যায় মণির উপর। মণিও রেগে যায়। বলে তোর মতো ছেলে না হলে আমার চলবে। শুরু করে পলাশের সাথে গভীর প্রেম। এমন সময় পলাশ জানতে পারে-মণি অফিসেরও অনেকের সাথে প্রেম করছে। এমন সময় সে মণিকে হুমকি দেয়। এখন ভয়ে মণির পড়াশোনা বন্থ হওয়ার উপক্রম। এসব ঘটনা জেনে যায় মণির পরিবার। পরিবার ঢাকায় এসে মণির খোঁজ নেয়। তাতে, মণির দোষ ধরা পড়ে। তবে, গ্রামের সহজ সরল মেয়ে ঢাকায় এসে পরিবর্তন—তা বিশ্বাস করতে চায়নি তার পরিবার।
এরইমধ্যে, মণি একরাতে হোস্টেলের বাইরে থাকে। এ খবর জানতে পারে ইমন। ইমনকে নিয়ে নিয়ে অফিসে যায়। অফিসে চালায় তর্কাতর্কি। পরে, অফিস তাকে চাকুরীচ্যূত করে। এখন সব কিছু হারিয়ে মণি পাগল প্রায়—এক সময় আত্মহত্য করার চেষ্টা করে। এসময় মণিকে সহায়তার হাত বাড়ায় এক বন্ধু। তার চেষ্টায় কিছুটা জীবন পায় মণি---
মণির মতো এরকম অনেক মেয়ে আছে যারা এরকমভাবে অনেকের সাথে প্রেম করছে। আর ছেলেরা হচ্ছে বোকা। অনেক সময় এরকম ঘটনার কারণে সমাজে ঘটে ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা। ঘটে হত্যাসহ নানা রকম সহিংসতা। এরকম সহিংসতা সমাজ থেকে বন্ধ হোক-এমন প্রত্যাশা সবার।

মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১০

আমি ও আমাদের দুঃখ


মেয়েদের নিয়ে কত স্বপ্নই না বাবা মায়েরবড় হয়ে একদিন মা বাবার স্বপ্নপূরণ করবে তারাস্বপ্ন পূরণে অনেকে গ্রাম, গঞ্জ থেকে শহরে পারি জমায় ক্যারিয়ার তথা চাকরির উদ্দেশ্যেএক্ষেত্রে, মধ্য পরিবার, গরীব পরিবারের সংখ্যা কম নয়তবে বেশিরভাগই শহরে পারি জমায় ধনীর দুলালীরাকেউবা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়ে ভর্তি হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেতবে, সীমিত সুযোগ থাকায়, অনেককে ভর্তি হতে হয়, প্রত্যন্ত গ্রামেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েমনের কষ্ট চেপে তাই তারা আবার চেষ্টা করে প্রথম বর্ষ শেষ করে, দ্বিতীয় বর্ষে শহর বা ঢাকায় স্থানাস্তরিত হতেকিন্তু সবার কি স্বপ্ন পূরণ হয়কত বাঁধা, কত বিপদ, কত দুঃখ আর কষ্ট করে বড় হতে হয় মেয়েদেরঅনেকে আবার ঝড়ে পড়ে শহরের নানা বৈচিত্রময়, অজানা আর অকল্পিনীয় গল্পের মতো করেতার জ্বলন্ত উদাহরণ ইডেনের মেয়েদের বর্তমান হালচালআবার অনেকে আছেন যারা ইডেনে থাকেন না থাকেন কোন মেস, হোস্টেল বা বাসা বাড়ির সাবলেটেতারই একটি নমুনাছন্দ নামে কিছুটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হলো

মেয়েটির নাম মণিবাড়ি দরলাম কোন এক জেলা···বাবা মায়ের বড় মেয়েছোট ভাই আছে, চোখে কম দেখেতাই ভাইটিকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখার সুযোগ নেই মায়েরআছে ছোট্ট আরেক মেয়ে তবে তার হাতে সমস্যাঅনেকটা জন্ম থেকেই অবশ ছোট্ট মেয়েটিতাই বাবা মায়ের যেন সব স্বপ্ন মণিকে নিয়েমণিকে তাই গ্রামের ছোয়া না লাগিয়ে জেলা শহরে নানির বাড়ি থেকে পড়াশোনা করালো বাবা মাভাল ফল করলো এসএসসিতেতার ধারাবাহিকতা রইলো এইচএসসিতেওএবার উচ্চ শিক্ষার পালামেয়ে ভর্তি হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়েতবে নেই যথার্থ গাইডলাইনকে দেখাবে হালনিজের চেষ্টাই দুবার চেষ্টা করলো মেয়েটি ঢাবি, জাহাঙ্গীর নগরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েতবে ঠেকিয়ে রাখলো অগাধ প্রতিযোগিতাপিছনে পড়লো অনেকটামনের দুঃখ চেপেই রইল মেয়েটিরতবে চান্স পেলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েকিছুটা আশা নিয়ে প্রথম বর্ষ শেষ করলো সেদ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে অনেকটা আশা নিয়ে চেষ্টা করলো ঢাকায় আসারতবে ঢাকায় থাকার খরচ পাবে কোথায় বাবা মা তো বিয়ে দিয়ে বিদায় করলেই পারেঢাকা অনেক বড় ভাই আত্নীয় স্বজনের কাছ থেকে কিছু একটা করার চিন্তা করলোঅনেকে দেখালো পার্ট টাইম বা কোন ছোট খাট চাকরি করার কিছু সুযোগভাগ্যের কারণে চেহারা ভাল থাকায় শহরের চাকরি ভাগ্যে জুটলো মেয়েটিরঅনেক আশা নিয়ে পাড়ি দিলো ঢাকায়আসলো ইডেন কলেজে ভর্তি হতে

তবে মেয়েটি থাকবে কোথায়টাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা আবাসনকথায় বলে--- বাবা তুমি এক পেট খেয়ে যাও তাও ভাল তবে থাকবে দিতে পারবো নাঅনেকটাই সত্যি ঢাকা শহরেএক বড় ভাইকে বলে একটা হোস্টেল ম্যানেজ করা গেলস্থান ফার্মগেট, তেঁজকুণিপাড়াঅনেক ম্যাসই গড়ে উঠেছে এখানেতবে মেয়েদের মেসের সংখ্যা নেহায়েতই কমআর যেগুলো আছে গাদা গাদি করে থাকতে হয় মেয়েদেরঅনেকে আবার থাকে নিচে ও উপরে করেঢাকায় এক ফ্লাটে দুতলা করে থাকে এমন আবাসন আমার মনে হয় মেয়েদেরই কপালেতবে পড়বে না কেন  কেউ তো মেয়েদের থাকার জন্য বাসা দিতে চায় নাঅনেকে কোন মতে একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে তা আবার মেস বানিয়ে ডবল হারে ব্যবসা করছেএ ব্যবাসা থেকে আবার জীবিকা নির্বাহ করছে অনেকেতাই মেয়েদের উপর তো চাপ পড়বেইএসব মেসের বা হোস্টেলের সমস্যার কথা কি বলবোখেলেও না খেলেও টাকা প্রতি মাসে স্থায়ী তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার দিতেই হবেনেই ভাল বাথরুম, পানি সমস্যা, গ্যাস নেই, বিদুø তো থাকেই নাখাবারের মান একতরফাযা দিবে তাই খেতে হবেআর কিছু নিজে থেকে কিনতে গেলে অনেক দামএতো গেলো হোস্টেলের অবস্থাচাকুরি করতে যেয়ে, গাড়ি দিয়ে আসা এবং যাওয়ায় কত দুষ্ট লোকের খপ্পরে পড়তে হয় তারঅনেক সময় গাড়িতে না উঠতে পেরে ফার্মগেট থেকে শাহবাগ আসে ৬০ টাকা দিয়েআবার শাহবাগ থেকে ফার্মগেট যায় ৮০ টাকা দিয়েতারপর চাকরি করতে যেয়ে কলিকদের সাথে আচার ব্যবহার চাল চলন, কথা বার্তায় কেমন যেন সবাই একটু খাটাতে চায়গ্রামের বলে সরলতার সুযোগ নেইএকটু ভুল হলেও ধমকঅনেকের আবার দূরের আত্নীয় ঢাকায় আছেন দীর্ঘদিন ধরেএলাকা থেকে নতুন কেউ ঢাকায় এসেছে শোনে আকে উঠে তারাতুই ঢাকায় আসলি আর জানালি নাতারাও নানা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেএদিক সেদিক বুদ্ধি দেয়কিছুটা ভাল কিছুটা মন্দএভাবেই চলে দিন কালতবু থমে যায়নি দিনবড় হতে হবে স্বপ্ন অনেক বুকে

মেসের সহপাঠীদের কেউ একেক জন একেক জেলারএকেক ধরনের মন মানসিকতাতারপরও অসহায় হয়ে চলতে হয় মেয়েদের সাথেএদের কেউ আবার প্রেম করে বয় ফ্রেন্ড আছেকেউ আবার ঢাকায় এসে লুকিয়ে বিয়ে করে বাবা মাকি না জানিয়েএমনই একজন জুট ছদ্দ নাম লিটন, নদীতার লুকিয়েই বিয়ে করেছেছেলে তিতুমীরে তৃতীয় বর্ষে, মেয়ে ইডেনে তৃতীয় বর্ষেভালই জমে উঠছে লুকিয়ে বিয়ে করার মজামাঝে মাঝে ঝগড়া হয়অনেকে বলে এদের সংসারটা হয়তো ভেঙ্গেই যাবেতবে ভাঙ্গা আর গড়ার মধ্যেই চলছে দিনকাল

এমনই এক জুটির কবলে পড়ে সদ্য ৩ মাস হলো নানা সমস্যায় পড়ে বড় হওয়া গ্রামের অসহায় মেয়ে মণিজুটিদের হাতে নেয় টাকা, তাই নানা রকম ফন্দি আটে টাকা কামানোরযেমন করেই হোক প্রেমের বিয়ে বিজয়ী হতে হবেতাই হাতে নেই নানা ধান্দাঅসহায় মণি বুঝতে পারেনি তাদের ফন্দিপ্রায় হোস্টেলে নদীর কাছে আসে লিটনতবে তার সাথে আসে মামা নামের কেউমামা শহরের বড় ব্যবসায়ীবসবাস লিটনের সাথে একটি সাবলেট বাসায়একসাথে থাকার কারণেই প্রায়ই মামা আসে লিটনের সাথেতবে একদিন হোস্টেলে এসে নদীর বান্ধবী গ্রামের মণির সাথে পরিচয় হয়মনের অজান্তেই মণিকে ভাল লেগে যায় মামারআটে নানা ফন্দিতারপর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দেখা করতে আসে মামামামা বলে জানো আমি কেন আসি প্রতিদিনকেবল মণিকে দেখতেমণিকে একদিন সরাসরি অফার দেয় মামাআমি তোকে বিয়ে করতে চায়তোর সাথে প্রেম করতে চায়মণির সব সময় নাগ্রামের গরীর ঘরের মেয়ে বাবা মায়েই ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হবে না 

তবে মামার ফন্দি মণিকে আমার চাইই চাইনদী আর লিটনকে ম্যানেজ করে সেযত টাকাই লাগুক নাএকদিন নদী বলে মণি চল তোকে আজ এক জায়গায় নিয়ে যাবোকোথায় বলা যাবে নাদেখবিইতোমণি বলে না বল কোথায়নদী বলে লিটনের বাসায়তো লিটন নদীর লুকিয়ে বিয়ে করা জামাই যেহেতু সেখানে যাওয়াতো যেতেই পারেএদিকে, দুই তিন মাসে হোস্টেলে যাতায়াতে লিটনকে দুলোভাই আর মামার সাথে বেশ সখ্য গড়ে উঠে মণিরতাই নদীর প্রস্তাবটা ফেলতে পারেনা মণিতবে, মামা কথা মনে নেই মণিরলিটনের বাসা মহাখালিতে তিুতুমীর কলেজের পিছনের একটা সাবলেটেসন্ধ্যায় বেরিয়ে গেলো দুজনবিকেলের নাস্তা করে অনেক গল্পের এক পর্যায়ে মামা বলে বসলো চল আজ আমরা ব্যতিক্রম ধরনের একটা কিছু করিএজন্য ড্রিংস মানে বেয়ার খাওয়া যেতে পারেমণি জানে বেয়ার কিকিছুই কৌতুহল তো থাকতেই পারেতাই ৪ জনে রেস্টুরেন্ট থেকে বড় এক বোতল বেয়ার নিলোসব নিয়ে আসলো বাসায়২ মেয়েকে খাওয়ালো ৩ পিক করেআর তাতে তারা হয়ে গেল সেন্সলেসএগুলো খাবার পর থেকে কিছুই বলতে পারেনি নদী ও মণিতবে লিটন ও মামা খায় একটা করেতাদের কোন সমস্যা হয়নিতারপর মেয়ে দুটো সারারাত আর রাত পার হয়ে সকাল পর্যন্ত অচেতন ছিল

এদিকে, কোন ভাই, মণিকে খোঁজ নেয় হোস্টেলেমেসের কেউ বলতে পারে না মণি আর নদী কোথায়হোস্টেল কর্তৃপক্ষও জানে না মেয়েরা কোথায়অনেক খোঁজাখুজির পর সকালে নদী আসলো হোস্টেলে বলে রাতে ছিলাম আত্মীয়ের বাসায়এদিকে মণি যায় সকাল ৯টায় অফিস থাকলেও সাড়ে ১০টায়অফিসেও ধরা এতো দেরি হলো কেনহোস্টেলের চাপএরইমধ্যে বাসায় জানাজানি হয়ে যায় মণি হোস্টেলে রাতে ছিল নাকথা শুনে সেদিনই অভিভাবক আসে ঢাকায়সব শুনে বলে আমার মেয়ে মণির উচ্চ শিক্ষার দরকার নেইআমি আমার মেয়েকে হারাতে চাই নাআমার জেলাতেই থাকতে চাইদরকার নাই উচ্চ শিক্ষারতারপর ইডেনে আর ভর্তি হওয়া হয়ে উঠলো না মণিরবাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে চলে গেল গ্রামেসেখানেই পড়াশোনা শুরুহয়তো একটা বিয়ে দিয়ে বাকী কাজটা সারতে চায় বাবা মাকি আর করবে মণিজীবনে না বুঝে ভুল করেছেসেজন্য বাবা মায়ের কথাতো মানতেই হবে  তবে, মণি আর বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ ব্যর্থ করতে দায়ী কেএ সমাজনাকী স্বার্থপর চরিত্রহীনা লিটন আর মামা টাইপের কিছু ব্যক্তিএ প্রশ্নই আমাদের মতো সচেতন মহলেরএরকম অনেক স্বপ্ন ধুলিস্বা হয়ে যায় মণির মতোঢাকা শহরের আধুনিক ছোঁয়া আর অস চরিত্রের লোকের কাছে ধরা পড়ে নিজের স্বতিত্ব আর মান মর্যাদা হারিয়ে ফেলছে আজকের উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীরা

আশা করি আমি ও আমাদের এসব অপ্রকাশিত দুঃখ ও কষ্টগুলো দূর করতে মেয়েদের প্রয়োজনীয় হোস্টেল তৈরী, মেয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো, মেয়েদের বাজেট বাড়ানো, আনাচে কানাচে গড়ে ওঠা হোস্টেলগুলোর জন্য আইন তৈরীসহ নানা সুবিধা বাড়াতে সরকার, প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবেদূর হবে আমি ও আমাদের দুঃখ এ আশা একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে করতেই পারি 

বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১০

এবার ইভটিজারদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত শেরপুরের মাদ্রাসা ছাত্রী মৌসুমী।

ইভটিজারদের ছুরিকাঘাতে এবার গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শেরপুরের নালিতাবাড়ির অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মৌসুমী আক্তার। সে এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। খবর শুনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ড. দীনা হক তাকে দেখতে আসেন। এসময় মৌসুমীর চিকিসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে জানান, তার চিকিসার ব্যয় ভার প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন।

জানা যায়, কুতুবাকুড়া গ্রামের সামছুল হকের মেয়ে মৌসুমী মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে একই গ্রামে বখাটেরা উত্যক্ত করতো। সম্প্রতি তার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় গত সোমাবার রাতে বখাটে সোহেল মিয়া ও তার সঙ্গীরা মৌসুমীকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।

সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১০

এবার বরগুনায় সুমার হাত ও পা কেটে নিলো বখাটেরা

বাবাকে সাথে নিয়ে ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে শনিবার সকালে স্থানীয় চেরাগ আলী হাওলাদারের বাড়ির সামনে রহিম সিকদারের ছেলে মহসিন (৩০) দা দিয়ে সুমার ডান পা কেটে ফেলেএ সময় সুমার ডান হাতটিও অর্ধেক কেটে যায়পরবর্তীতে তাকে রাজধানীর ট্রমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়

ঘটনায় রোববার রাতে বরগুনার উপ-পরিদর্শক শাহ নেওয়াজের নেতৃত্বে এসআই হাবিবুর রহমান, এসআই সাইদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন ঘটবাড়িয়া গ্রাম পুলিশ সহযোগিতায় ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে মহসিনকে গ্রেফতার করেন

এদিকে, আজ সকালে বরগুনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহসিন-সুমার পা কাটার কথা স্বীকার করেছেসে বলেছে, সুমার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলসুমা সম্পর্ক অস্বীকার করেএরপর সুমা তাকে জুতা পেটা করতে চাওয়ায় সে তাকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায়

তবে, সুমাকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনসোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ট্রমা হাসপাতালে সুমাকে দেখতে যান তিনিতিনি সুমার চিকিসা বিষয়ে খোঁজ খবর নেন

রংপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা।


রংপুর চিড়িয়াখানায় গাছের আড়ালে-আবডালে, ঝোপের পাশে আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায় যুগলদের। কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে। আর সেই সুযোগে অশ্লীলতা চালায় তারা। এখানে রয়েছে আলো-আধারির রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরে রয়েছে বিশেষ ধরনের খাট। যেখানে কর্তৃপক্ষকে বাড়তি টাকা দিয়ে চালানো হয় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কিছুদিন আগেও অভিযান চালিয়ে এখান থেকে এক যুগলকে আটক করে পুলিশ।

রংপুরের বিনোদন স্পট হিসেবে সবার পরিচিত ভিন্ন জগত। ৩০ টাকায় টিকেট কিনে যে কেউ অতি সহজে ঢুকতে পারেন এখানে। এখানেও রয়েছে বিশেষ ধরনের রেস্ট হাউজ। যেখানে ঘন্টায় ৩শ‌ থেকে ২ হাজার টাকা ব্যয় করে সময় কাটানো যায় নিরাপদে। এছাড়াও বিভিন্ন স্পটে গাছের আড়ালে ও লেকের পাশে প্রকাশ্যেই চলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। গ্রাহকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে এখানেও নিরব থাকেন কতৃপক্ষ।

অন্যদিকে, রংপুরের গঙ্গাচরের লেক ও নদীর ধারের কথা সবারই জানা। এখানেও যুগলদের রয়েছে একান্ত মেলামেশার অবাধ সুযোগ।
এছাড়াও, ক্যান্টনমেন্টের পাশে বিশবেদগঞ্জ ও এর নদীর পাশের বাঁধের এলাকায় প্রকাশ্যেই চলে অশ্লীলতা। যুগলদের সারিবদ্ধভাবে আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়।

রংপুরের অন্যতম প্রাচীন দর্শণীয় স্থান তাজহাটের জমিদার বাড়ি ও জাদুঘরের আশ-পাশের এলাকায় অবাধেই চলে অশ্লীলতা। কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন কিছুই দেখে  না। তাই, এ সুযোগে যুগলরা প্রতিনিয়ত ভীড় করছে এখানে।

পীরগঞ্জের আনন্দ নগর নামক স্থানেও প্রতিদিনই ঘটছে বিভিন্ন রকমের অনৈতিক কর্মকাণ্ড এখানেও অধিকাংশ সময় যুগলদের আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়।

পাগলা পীর মোড়ে সিনেমা হলকে ঘিরেও চলে অশ্লীলতা। সম্প্রতি পুলিশ এখানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে।

শহরের বিভিন্ন মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, জেলা পরিষদ এলাকায় কমিউনিটি মার্কেটের সামনে সিসিলি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, সুরভী উদ্যানের সামনে কফি হাউজসহ এসব রেস্টুরেন্টের আলো-আধারীর মাঝে চলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড।

এছাড়াও রংপুরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়েও গড়ে উঠেছে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আস্তানা। এসব এলাকায় স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের যাতায়াতই বেশী। উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলো হলো—দেশী বাংলার পিছনে বাড়ি, ডিসির বাংলোর মোড়ের সার্কিট হাউজের পিছনে ভিআইপি রোডে দ্বিতল ভবনের দ্বিতীয় তলা, কামারপাড়া, কলেজ রোডের আশ্রম, সেনপাড়া, বেগম রোকেয়া কলেজের পাশে বিভিন্ন বাসা বাড়ি, আরসিসিআই স্কুলের সামনে এবং পিছনের বাসা বাড়ি, খাস বাগ, তাজহাট গলাকাটা মোড়ের আশ-পাশের বাসা বাড়ি, বাবু পাড়া, জুট মিলের আশ-পাশের বাসা বাড়ি, বাবু পাড়া জুট মিলের আশ-পাশের বাসা। এসব এলাকায় অবাধে চলে অশ্লীলতা।

শহরের বিভিন্ন হোটেলেও চলছে অশ্লীলতা। প্রেসক্লাবের পাশের ফ্রেন্ডস হোটেল, গোল্ডেন টাওয়ার, আরকে রোডের পর্যটন মোটেল, আওয়ামী লীগ অফিসের পাশের ঢাকা হোটেল, রাজ হোটেল, ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকার হোটেল, মর্ডান মোড়ের হোটেল ডায়মন্ড, শাহীমহল, অর্জন, মাম্পী, অবকাশ, সৌমিক, ট্রাক বাস স্ট্যান্ড এলাকার হোটেল বৈশাখী, সাত মাথা এলাকার সাত মাথা টাওয়ার, ধাপ মেডিকেল এলাকার বিজয় হোটেল।

এছাড়া, ধাপ মেডিকেল এলাকার টার্মিনাল, আরকে রোড এবং সিও বাজার এলাকার বিভিন্ন ক্লিনিকেও চলছে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের রমরমা বাণিজ্য।
শহরের বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে প্রকাশ্যেই চলে অশ্লীলতা।
অন্যদিকে, শহরের বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেতেও চলছে এসব কর্মকাণ্ড। 
এছাড়া শহরের টাউন হল এলাকার শহীদ মিনার, পাবলিক লাইব্রেরী মাঠ, টাউন হল চত্তরেও তরুণ-তরুণীরা আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকে।

এসব সামাজিক অবক্ষয়ের কারণেই ইভ টিজিংসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে বিবাহ-বিচ্ছেদ, চুরি-ছিনতাই, রাহাজানি ও হত্যাসহ অন্যান্য অপরাধ। অথচ প্রশাসনের একটু নজরদারিই পারে এসব এলাকাকে অসামাজিক কার্যকলাপ মুক্ত রাখতে। আর তা না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভয়াবহ সামাজিক অবক্ষয়ের কবলে পড়তে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১০

ইভ টিজিং প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইভ টিজিং প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে করে নিরীহ মানুষ হয়রানীর স্বীকার হতে পারে বলেও অভিমত কারো কারো। সাধারণ মানুষ মনে করেন, ইভটিজিং প্রতিরোধে নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি নারীদের শালীনতা বজায় রাখাও জরুরী। 

বর্তমান ইভটিজিং নামের ঘাতকটি, দেশে মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এর কালো থাবায় অকালেই ঝরে গেছে অনেক তাজা প্রাণ। অনৈতিক শিক্ষা ও অপসংস্কৃতিই ইভটিজিং-এর জন্য দায়ী বলে অনেকের অভিমত। খোদ রাজধানীতে বেড়ে গেছে অসামাজিক কার্যকলাপ। ব্যস্ততম রাস্তার পাশে চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা রমনা পার্কে চলছে তরুণ-তরুণীদের অবাধ মেলামেশা। যুগের সাথে তাল মেলানোর যুক্তি দেখিয়ে খোলামেলা পোষাক পরছেন অনেকেই। আর এখানে ওখানে সিনেমার অশ্লীল পোস্টার তো ঝুলছেই। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইভটিজিং এর পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে এসব অপ-সংস্কৃতিক হালচাল।

শুধু ছেলেদের দোষারোপ না করে মেয়েদেরও শালীন হবার পরামর্শ দিলেন অনেকে। ইভটিজিং প্রতিরোধে সম্প্রতি মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ আদালত সাজা দেয়ার পর আপিল করারও কোন বিধান রাখা হয়নি। ফলে, অনেক নিরাপরাধ লোক হয়রানির শিকার হচ্ছেন—মন্তব্য মানবাধিকার কর্মী ও ইভটিজিং সংক্রান্ত মামলার আইনজীবী ফাহিমা নাসরিনের।

অবিলম্বে ইভটিজিং প্রতিরোধে ভারসাম্যপূর্ণ আইন ও নৈতিক শিক্ষা চালুর দাবি করলেন এই নারী নেত্রী।

বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১০

ইভ টিজিং: এবার প্রাণ হারালেন চাঁদপুরের এক হতভাগ্য বাবা

এবার ইভ টিজিংয়ের শিকার হলেন এক হতভাগ্য বাবা। ইভ টিজিংকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে মেয়েকে বিয়ে দিয়েও শেষ রক্ষা পেলেন না চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মনির হোসেন সরকার। দুর্বৃত্ত আব্দুল হান্নান তাকে মঙ্গলবার রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। 

জানা গেছে, হান্নান নামের ওই দুর্বৃত্ত নিহত মনির হোসেনের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো প্রায়ই। বখাটে বলে মনির হোসেন তার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি না হওয়াটাই তার অপরাধ। আর তার জের ধরেই মনির হোসেনের প্রাণ কেড়ে নিল ওই নরপশু।

দেশজুড়ে চলছে ইভ টিজিং। কোনোভাবেই এ প্রবণতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও থামছে না ইভ টিজিংয়ের ঘটনা। বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট ইভ টিজিংকারীদের শাস্তি দেয়ার খবর আমরা প্রতিদিনই মিডিয়ায় পাচ্ছি। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং আমরা বলতে পারি, শাস্তিকে পরোয়া না করে দুর্বৃত্তরা ইভ টিজিং করেই চলছে। 

আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, বিষয়টিকে এখন আর ইভ টিজিং বলে হালকা করে দেখার অবকাশ নেই। এটি নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। একে প্রতিরোধ করার জন্য চাই আরো কঠোর আইন। সেইসাথে, ইভ টিজিংয়ের কারণও খতিয়ে দেখে একে সমাজ থেকে সমুলে ধ্বংস করে দিতে হবে বাঁচাতে হবে যুব সমাজকে।

আমরা ইভ টিজিংয়ের ঘটনায় আর কোন মৃত্যু দেখতে চাই না।

বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১০

আনুষ্ঠানিভাবে বিয়ে দেয়ার পরও মেয়েকে জামাই বাড়িতে না পাঠিয়ে বরং উল্টো অপহরণ মামলা করেছে কনেপক্ষ।

আনুষ্ঠানিভাবে বিয়ে দেয়ার পরও জামাইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছে কনেপক্ষ। সেইসাথে মেয়েকে আর শ্বশুর বাড়িতে পাঠাচ্ছেন না তারা। অপরদিকে, বরপক্ষও যেকোন মূল্যে ফিরে পেতে চায় কনেকে। বগুড়ার শেরপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা।
জানা যায়-বগুড়ার শেরপুরের সীমাবাড়ি ইউনিয়নের বেতগাড়ি গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে নাসিমা আক্তার নিঝুম ও সিরাজগঞ্জের আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় আত্মীয়তার সূত্রে। এক পর্যায়ে তারা ঢাকায় এসে পালিয়ে বিয়ে করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে- উভয়ের পরিবার শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েকে বাড়িতে এনে ধুমধাম করে বিয়ে দেয়। তবে, ৫ মাস সংসার করার পর একদিন মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসে আর জামাই বাড়িতে পাঠাচ্ছে না মেয়েপক্ষ। উল্টো জামাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছে তারা।
মেয়ে নাবালিকা বলে বিয়ে অস্বীকার করছে কনেপক্ষ। সেইসাথে মেয়েকে অনিচ্ছায় বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের। এ ঘটনা নিয়ে ছেলে ও মেয়ে পক্ষের মধ্যে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছেলের খালার উপর মেয়ে পক্ষের হামলারও অভিযোগ উঠেছে। মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রেমের এ বিয়েকে কেন্দ্র করে বিরোধে যেন এলাকায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে-সেদিকে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল।

সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১০

নারায়নগঞ্জের, শীতলক্ষা নদীর তীর, ফতুল্লার ভাসমান হোটেল মেরি এন্ডারসন, খানপুর ২শ’ শয্যা হাসপাতাল ও রূপগঞ্জের জিন্দা পার্কে প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা।

নারায়নগঞ্জ শহরের পার্শ্ববর্তী শীতলক্ষা নদীর তীর এলাকা ও নদীর উপরের নৌকাগুলোয় প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা। নদীর তীরের নিবিবিলি পরিবেশ আর নৌকায় রয়েছে নিরাপদ পরিবেশ। ঘন্টায় ১শ’ টাকা খরচ করেই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে চলে আসে এখানে। প্রকাশ্যে আপত্তিকর অবস্থায় বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে সময় কাটায় তারা।

ফতুল্লার ভাসমান হোটেল, যাকে বলে প্রমোদ তরী, মেরি এন্ডারসনের ভিতরে ও এর আশ-পাশের এলাকায়ও প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা। এখানে রয়েছে বার, রয়েছে বিশেষ কেবিন ও হোটেল। রয়েছে কিছু দালাল যাদের ৩শ’ থেকে ২ হাজার টাকা দিলে বিভিন্ন ধরনের জায়গার অশ্লীলতার ব্যবস্থা করে দেয়। সবাই জেনেই এখানে সময় কাটাতে আসে। আর ব্যাপক চাহিদা থাকায় দিন দিনই সবার গোচরেই এখানে চলছে অশ্লীলতা।

অন্যদিকে, প্রেম কানন হিসেবে খ্যাত নারায়নগঞ্জের খানপুর ২শ’ শয্যা হাসপাতাল বেশ পরিচিত। এখানে হাসপাতালের ভিতরে রয়েছে বিশাল বাগান। যার ভিতরে প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা। যুগলরা সারাদিন এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত এখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চালায়। সবাই দেখেও না দেখার ভান করে। যেন এগুলো তারা কিছুই বুঝে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কিছু বলে না।

এছাড়া, রূপগঞ্জের জিন্দা পার্কের ভিতরে গাছের আড়ালে-আবডালে ও ঝোপ-ঝাড়ের মাঝে চলছে অশ্লীলতা। যুগলসহ সব ধরনের লোকজন এখানে এসে প্রকাশ্যেই চালায় অসামাজিক কার্যকলাপ।

সোনারগাঁর যাদুঘরের পুকুর পাড়ের পূর্ব পাশ, লেকের পাড়, যাদুঘরের দক্ষিণ পাশের গাছের আড়ালে-আবডালেও আপত্তিকর অবস্থায় যুগলসহ পর্যটকদের বসে থাকতে দেখা যায়।

এসব অশ্লীলতার কবলে পড়ে যুবকরা হারাচ্ছে তাদের সীমাহীন সম্ভাবনা। পড়ছে বিভিন্ন সহিংসতার বেড়াজালে। বাড়তে সহিংস ভালবাসা। -- কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি এসব এলাকার অশ্লীলতা দূর করতে পারবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১০

চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে অবাধে চলছে অশ্লীলতা

চাঁদপুরের বড় স্টেশন, নদীর ওপারের চর, নদীর উপরের নৌকা, কতিপয় রেস্টুরেন্ট ও হোটেল এবং যাতায়াতের লঞ্চের কেবিনে অবাধে চলছে অশ্লীলতা। সবাই জানে এসব এলাকায় কি কি ঘটছে। তবু দেখেও না দেখার ভান করে চলছে। উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরাই এসব এলাকায় বেশী লক্ষ্যণীয়।

জানা যায়-শহরের বড় স্টেশন একটি সৌন্দর্যময় এলাকা। তাই, একটু অবসর পেলেই অনেকে ঘুরতে আসেন এখানে। তবে, বড় স্টেশনের নদীর ওপরে প্রতি ঘন্টায় নৌকায় ২শ’ টাকায় ঘুরে আসা যায়। নৌকায় কাপড়ের বেড়া দিয়ে অশ্লীলতার সুযোগ করে দেয় মাঝিরা।

এছাড়াও, রয়েছে নৌকা যোগে নদীর ওপারে চরে যাবার সুযোগ। বিশাল চরে রয়েছে ঝুপড়ি আর ফাঁকা জায়গা। সেখানে নির্জনে সময় কাটানো যায় বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে। মাঝে মধ্যেই চরে একা পেয়ে হামলা চালায় স্থানীয় বখাটেরা। যুগলদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় টাকা ও মোবাইল। অনেক সময় তাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় যুগলদের। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এখানে প্রতিদিন লোকজন ভীড় করছে।

অন্যদিকে, চাঁদপুরের কতিপয় রেস্টুরেন্টে দিনে দুপুরে পর্দা টানিয়ে ভিতরে চলছে অশ্লীলতা। ফয়সাল মার্কেটের ওয়েল কাম রেস্টুরেন্ট, কস্তুরি, ধানসিড়ি, কুমিল্লা রোডের আল-ফালাহ রেস্টুরেন্ট, নতুন বাজারের ক্যাফেঝিল, জোড় পুকুর পাড়ের নাইট কুইন চাইনিজ রেস্টুরেন্টের আলো আধার ও পর্দার ভিতরে অবাধেই চলছে অশ্লীলতা। বাইরের চেয়ে একটু বেশি টাকার বিনিময়ে গ্রাহকদের এসব কাজের সুযোগ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তাই, উঠতি বয়সী যুগলরা প্রতিনিয়ত এসব রেস্টুরেন্টে ভীড় করছে।

এদিকে, চাঁদপুরের বিভিন্ন হোটেলেও প্রতিনিয়ত পুলিশী অভিযানে যুগলদের হাতে নাতে ধরা হচ্ছে। স্কুল ও কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যাই এদের মধ্যে বেশী। হোটেল রজনীগন্ধা, হোটেল অতিথি, হোটেল শ্যামলী, হোটেল তাজ, হোটেল পুরবী ও হোটেল প্রিন্সে দিনে দুপুরেই ঘন্টায় ২শ’ টাকা বুকিং দিয়ে ভিতরে চলছে অশ্লীলতা।

এছাড়াও, চাঁদপুর যাওয়া-আসার মাঝে লঞ্চের কেবিনগুলোতে চলে অশ্লীলতা। মাঝ বয়সী ছেলে-মেয়েরা যাতায়াতকালে লঞ্চের কেবিনগুলোতে অনৈতিক কার্যকলাপ চালায়। সবাই জানে লঞ্চের কেবিনগুলোর কথা ভিতরে কি চলে। কিন্তু বাড়তি টাকা পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ কিছুই বলে না।

বন্ধুত্ব আর ভালবাসার নামে এসব নগ্ন অশ্লীলতাকে দূর করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে ভালবাসার কবলে পড়ে কাউকে হারাতে হবে না সম্ভ্রম। হবে না আত্মহত্যাসহ কোন সহিংসতা।

রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১০

প্রেমিকের পরকিয়ার কথা জেনেই আত্মহত্যা করে জেনি

প্রেমিক লালন সম্পর্কে খারাপ ধারণার পরই আত্মহত্যা করে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গালর্স কলেজের ছাত্রী তারানা শিরিন জেনি। রমজানের ঈদের পরে গোপনে তারা বিয়ে করে। তার কিছুদিন পরেই জেনি জানতে পারে, লালনের সঙ্গে একাধিক মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে প্রায় তাদের মাঝে ঝগড়া হতো। সর্বশেষ গত বুধবার মোবাইল ফোনে ঝগড়ার এক পর্যায়ে জেনিকে লালন ডিভোর্স দেয়ার কথা বলে। এরপরই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় জেনি। তানিশা আত্মহত্যার চেষ্টা সম্পর্কে চিরকুটের মাধ্যমে তার মাকে লিখেছেন, ‘পড়াশোনা ও তোমার সঙ্গে প্রেম। পড়ালেখা না করতে পারায় নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে, পৃথিবীর সবাই স্বার্থপর। এতো চেষ্টা করেও মরতে পারিনি, কৈ মাছের প্রাণ।’
এদিকে, তানিশার অবস্থা দ্বিতীয় দিনেও তেমন উন্নতি হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করা হয় তার। দুপুরে, তানিশার জ্ঞান ফিরে আসলে তাকে রাজধানীর লালমাটিয়ার নিরুপম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তানিশার মা হাসিনা সালাম জানান, তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা তানিশার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে তারানা শিরিন জেনি ও তানিয়া সুলতানা তানিশা মালিবাগের কেয়া প্রিয়া মহিলা হোস্টেলের ২য় তলার একটি কক্ষে এক সঙ্গে বিষ পান করে। পরে জেনি মারা যায়। তানিশা আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
পুলিশের বক্তব্য: মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. জাফর আলী বলেন, নিহত জেনির লেখা একটি ডায়েরি পাওয়া গেছে। ডায়েরিতে পরিবারের অবহেলা ও প্রেমিক লালনের সঙ্গে ঝগড়ার কথা লিখেছে। তবে, সে ডায়েরিতে তার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেনি। এছাড়াও লালনের তেমন কোন পরিচয় সম্পর্কে লিখেনি। জেনি তার বান্ধবী তানিশার মোবাইল ফোনে লালন নামের যুবকের সঙ্গে কথা বলতো। তাই, তানিশার মোবাইল ফোনের কল লিস্ট তদন্ত করে দেখছি। তবে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে জেনি আত্মহত্যার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। লালন নামের যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে ও আত্মহত্যার পেছনে উস্কানি আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কে এই লালন: হোস্টেলের এক ছাত্রী জানিয়েছেন, লালনের প্রকৃত নাম ইকবাল হোসেন ওরফে লালন। সে ভালো গান এবং গিটার বাজাতে পারে। শুনেছি, তাদের মাঝে এক বছর ধরে প্রেম চলছে। লালন তেজগাঁওতে একটি মেসে থাকে। নিহত জেনির বান্ধবী তানিশা জানান, লালনের সঙ্গে তারা বেশ কয়েক বার কথা বলেছেন। তার চরিত্র খারাপ শুনে জেনি ভেঙে পড়ে।
লালন আরও এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতো শুনেছি। তারা দু’জন এক সঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা সম্পর্কে বলেন, জেনি সবার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। জেনি আত্মহত্যার বিষয়টি আমাকে জানায়। তখন আমিও (তানিশা ) তার সঙ্গে আত্মহত্যা করার কথা বলি। তানিশা বলেন, এসএসসিতে এ প্লাস পেয়েছিলাম। এইচএসসিতেও এ প্লাস পেয়ে ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন। কয়েক মাস ধরে পড়ালেখা না হওয়ায় মন ভেঙে গেছে। তাই দু’জনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।

শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১০

চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যেই চলছে অশ্লীলতা

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সি বিচ ও পার্কি সি বিচে প্রকাশ্যেই চলছে অশ্লীলতা। সেইসাথে চলছে মাদকের অবাধ বেচাকেনা। সবাই দেখেও যেন না দেখার ভান করছে। এসব বিচের সামনে খাবারের দোকাগুলোর পিছনে রয়েছে ছোট ছোট খুপড়ি। এগুলোতে বান্ধবীদের নিয়ে এসে সময় কাটানোর পাশাপাশি অবাধে চালানো হয় অশ্লীলতা। কিছু বাড়তি টাকার বিনিময়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ এখানে সুযোগ করে দিচ্ছে তরুণ-তরুণীদের। প্রশাসনও দেখেও না দেখার ভান করছে। বিচগুলোতে সাধারণত উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের আনাগোনাই বেশী। তবে, বিশ্ব ভালবাসা দিবস, পহেলা বৈশাখ, বিজয় দিবসসহ বিশেষ দিনগুলোতে বান্ধবীদের নিয়ে এখানে সময় কাটান অনেকে।
এছাড়া, লালখান বাজারের জিলাপির পাহাড় এলাকায় তরুণ-তরুণীদের অবাধ মেলামেশা সবার চোখে পড়ে। এখানে প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘাসের ঝোপ-ঝাড় ও গাছের আড়ালে-আবডালে খুবই আপত্তিজনকভাবে সময় কাটায় তারা।

অন্যদিকে, শহরের চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলোর আলো আধারের মাঝে চলে অশ্লীলতা। যুগলরা প্রতিনিয়ত এখানে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চালায় এসব কাজকর্ম। কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখার ভান করে।

এছাড়া, চট্টগ্রাম সিটি কলেজের পাশে নিউ মার্কেটের আড্ডাস্থলে, কমার্স কলেজ ও আগ্রাবাদের শিশু পার্ক এলাকায়ও চলছে অশ্লীলতা। এখানে জোড়ায় জোড়ায় যুগলরা
প্রায়ই আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়। এসব এলাকায় প্রায়ই ঘটে ছিনতাই ও সহিংসতা।

তাছাড়া, চট্টগ্রাম শহর থেকে বেশ দূরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস হল, ফরেস্ট্রি বিভাগের পাহাড় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠের আড়ালে-আবডালে অবাধে চলছে অশ্লীলতা। সবাই জানে এসব জায়গায় প্রতিনিয়ত কি ঘটছে। তবু, সব কিছু জেনেই বিশেষ দিনগুলোতে এসব এলাকায় ভীড় জমায় উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা। অনেকে আবার আসে এসব অশ্লীলতা দেখতে।

এসব অশ্লীলতার কারণে চট্টগ্রামের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে সহিংসতা। বন্ধুত্ব আর ভালবাসার নামে চলছে অশ্লীলতা। ঘটছে, চুরি, ছিনতাই আর প্রেমে ব্যর্থ ও সম্ভ্রম হারিয়ে ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা। যাকে বলে সহিংস ভালবাসা। এসব অশ্লীলতা আর সহিংস ভালবাসা থেকে দূরে থাক সবাই-সুন্দরভাবে গড়ে উঠুক নতুন প্রজন্ম—এমন প্রত্যাশা সবার।

রাজধানীর একটি হোস্টেল কক্ষে ২ ছাত্রীর বিষপান * একজনের মৃত্যু * অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

রাজধানীর মালিবাগের একটি হোস্টেলে গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় একইসঙ্গে বিষপান করে তারানা শিরিন জেরিন (১৮) নামে এক ছাত্রীর মৃত্যু ঘটেছে এবং অপর ছাত্রী তানিশা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। জেরিন সিদ্ধেশ্বরী মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং তানিশা শাহজাহানপুর মির্জা আব্বাস ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী।
রমনা থানার এসআই ডিউটি অফিসার আবদুল মোতালেব জানায়, বিশ নম্বর পশ্চিম মালিবাগের আরিফ কমিশনারের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় কেয়া পিয়া মহিলা হোস্টেলে জেরিন ও তানিশা এক রুম ভাড়া নিয়ে থাকত। গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় তারা একসঙ্গে বিষপান করে। তাদের গোঙানির শব্দ শুনে অন্য রুমের ছাত্রীরা এসে বিছানার ওপর তাদের পড়ে থাকতে দেখে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জেরিন ও তানিশাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায় এবং অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকাল ৮টায় কর্তব্যরত ডাক্তার জেরিনকে মৃত ঘোষণা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তানিশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ডায়রি ও হিলাথিয়ন লেখা তিনটি খালি বোতল উদ্ধার করেছে। ডায়রিতে প্রেম ও হতাশাজনিত কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। বোতলে কীটনাশক বিষ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার জাফর আলী জানান, একই কক্ষে একই সঙ্গে দু'জনের বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা বিরল। বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা চিকিৎসাধীন তানিশার কাছ থেকে জানা যাবে। পুলিশ এ ঘটনায় হোস্টেল পরিচালক আবদুল রাজ্জাককে আটক করেছে। জেরিনের চাচা একেএম শামসুদ্দিন রমনা থানায় বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। জেরিনের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নোয়াখেলা গ্রামে এবং তানিশার বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায়।

ইভটিজারকে কানে ধরে উঠবস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক মহিলাকে ইভটিজিং করার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত শুক্রবার এক ইভটিজারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০০ বার কানে ধরে উঠবস করান।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাস্তা দিয়ে এক মহিলা বাজার করে বাড়িতে যাওয়ার সময় উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কমলপুর কলেজ পাড়ার মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র আব্দুস সাত্তার (৩৫) ইভটিজিং করে। এ ঘটনার পর নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক করিম বিএসসি থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ইভটিজারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট সামছুল ইসলাম মেহেদী বিকালে নবীনগর থানা চত্বরে এ ইভটিজারের বিরুদ্ধে ইভটিজিং করার অভিযোগে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও জনসম্মুখে ১০০ বার কানে ধরে উঠবস করান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওসি রূপক কুমার সাহা, এডভোকেট শিব সংকর দাস, এসআই আব্দুল মালেকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১০

পরকীয়ায় ভাঙছে ঘর : ছন্নছাড়া জীবন সংসার

আট মাস আগে রাজধানীর বাড্ডার নীলা মেহরুনকে বিয়ে করেছিলেন হাসান আলী। নবদম্পতির সংসার-জীবন সুখেই কাটছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে হাসান জানতে পারেন প্রিয়তমা স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত। অন্য যুবকের সঙ্গে রয়েছে স্ত্রীর গোপন প্রণয়। স্বামীর অজান্তে সে মোবাইলে প্রেমিকের সঙ্গে খোশ গল্প করে। প্রথমদিকে হাসান না বোঝার ভান করে এড়িয়ে যায়। কিন্তু বেশিদিন আর চাপা থাকেনি। হাসান সবকিছু বুঝতে পারেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সৃষ্টি হয় বিরোধ। সদ্যবিবাহিত হাসান ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা নেন। বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে হোটেল কক্ষ ভাড়া করে ঠাণ্ডা মাথায় স্ত্রীকে খুন করেন।
পরে তিনি নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দিয়ে অকপটে সবকিছু স্বীকার করেছেন। এ ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার রাজধানী ঢাকাতেই। পরকীয়ার কারণে এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। শুধু যে স্ত্রীর প্রাণ গেছে তা-ই নয়, স্বামীকেও প্রাণ দিতে হচ্ছে। স্ত্রী তার পরকীয়া প্রেমিক ও ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে খুন করাচ্ছেন। কখনও বা গর্ভধারিণী মায়ের সামনে সন্তানকেও খুন করার ঘটনা ঘটছে। পরকীয়ার টানে ভেঙে যাচ্ছে সাজানো সংসার। তছনছ হয়ে যায় সংসার-জীবন। ঘটছে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। কেউ বা ঘটনার পর নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দেন। কেউ বা গ্রেফতারের পর অকপটেই স্বীকার করেন নিজের কৃতকর্ম। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মামলা দায়েরের ঘটনাও ঘটছে। এসব ঘটনায় সন্তানের ভবিষ্যত্ হয়ে যায় অনিশ্চিত। বাবা অথবা মায়ের মৃত্যুর পর অথবা জেলে গেলে সন্তাকে আত্মীয়-স্বজনের কাছে আশ্রয় নেয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান চৌধুরী বলেন, দিন দিন সমাজের যে অবক্ষয় হচ্ছে তা থেকে আমাদের নিজেদের পরিবর্তন করে আনা উচিত। বিশেষ করে, আকাশ সংস্কৃতি থেকে যতটা দূরে থাকা যায় ততটাই মঙ্গল। হিন্দি সিরিয়ালগুলো যতটা কম দেখা যায় ততই ভালো। এসব সিরিয়াল থেকে ভালো কিছু শেখা যায় না; বরং অনৈতিক কাজে প্ররোচিত করে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদেরও দায়িত্ব রয়েছে। যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, তাদেরও নিজেদের নৈতিক চরিত্রের পরিবর্তন ঘটানো দরকার।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ থেকে জানা যায়, প্রতি বছর প্রায় শতাধিক নারীর মৃত্যু হয় পরকীয়ার কারণে। এর মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যু রহস্যজনক বলে রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে। গৃহবধূ ছাড়াও স্বামী এবং স্বজনরাও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকেন। গৃহবধূদের মধ্যে অনেকেই আত্মহত্যা করে থাকেন। আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। অপমৃত্যুর মামলাগুলোর তদন্তে খুব বেশি অগ্রগতি হয় না। একপর্যায়ে ধামাচাপা পড়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের ডোম সেকেন্দার আলী জানান, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় তিনি বুঝতে পেরেছেন গলায় ফাঁস দিয়ে ও বিষপানে আত্মহত্যার বেশিরভাগ ঘটনাই পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘটে থাকে। আর বেশিরভাগ পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয় স্বামী-স্ত্রীর পরকীয়া অথবা সংসারে অভাব-অনটনের কারণে। তবে যৌতুকের কারণেও পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, বনানীর আবাসিক হোটেলে হাসান আলী তার স্ত্রীকে খুন করেন। হত্যার পর তিনি হোটেল থেকে পালিয়ে যান। পরে হাসান নিজে শাহবাগ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করায় ঘটনা প্রকাশ পায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের আগেই তিনি অকপটে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। ওসি বলেন, যে কারণেই হোক স্ত্রীকে তিনি হত্যা করেছেন। পুলিশের হাতে তাকে ধরা দিতেই হতো। বিবেকের তাড়নায় হোক বা ভয়ে হোক, হাসান আইনের হাতে ধরা দিতে বাধ্য হয়েছেন। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, পরকীয়ার কারণে বিভিন্নভাবে স্ত্রীকে খুন করার ঘটনা ঘটছে। হোটেলে কক্ষ ভাড়া করে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে, বিষপান করিয়ে ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয় স্ত্রীকে। এসব হত্যারহস্য উদঘাটনে পুলিশকে বেগ পেতেও হয়। অনেক ঘটনার রহস্য উন্মোচন করাও সম্ভব হয় না।

বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান জানান, বাবা-মায়ের কারণে অনেক সময় সন্তানরা বিপথগামীও হতে পারে। কোনো কারণে যদি মা অথবা বাবার মৃত্যু হয় অথবা একজন জেলে থাকে, এ অবস্থায় সন্তান নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বাবার কারণে ঘটনা ঘটলে সন্তানের ভরণ-পোষণের জন্য মা-ই অগ্রাধিকার পান। মা না থাকলে খালা অথবা নানি সন্তানের দায়িত্ব নেন। এলিনা খান বলেন, এ ধরনের পরিবেশে বড় হওয়া সন্তান একদিন তাদের বাবা-মায়ের ঘটনা জানতে পারবে। তাই আগে থেকেই সন্তানকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখা এবং মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নেয়া উচিত।
কেস স্টাডি : নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক জেনে ফেলায় স্বামীকে ১৩টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করে রেখেছিলেন একটি এনজিওর সভানেত্রী রহিমা খাতুন লিজা। স্বামী আবদুল জলিল ভূঁইয়াকে চারদিন ধরে ঘরের ভেতর শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হয়। লিজার অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় তিনি তার স্বামী আবদুল জলিল ভূঁইয়াকে প্রেমিক দিপুর সহায়তায় চারদিন ধরে বাড়ির একটি ঘরে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে হাত-পা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। গত ১৩ অক্টোবর সকালে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে লিজা ও তার প্রেমিক দিপুকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

লিজার দেবর আলাল ভূঁইয়া জানান, শহরের পাইকপাড়ার ভূঁইয়াপাড়া এলাকার বাড়িতে তার বড় ভাই আবদুল জলিল ভূঁইয়া স্ত্রী রহিমা খাতুন লিজা ও ২ মেয়ে দোলা ও মৌকে নিয়ে বসবাস করতেন। তিনতলা বাড়িটির মালিক আবদুল জলিল। এক ও দুইতলা ভাড়া দেয়া হয়েছে। তৃতীয় তলায় ভাই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তৃতীয় তলারই দুটি কক্ষে ভাবী লিজার নারী কল্যাণ সংস্থা নামে একটি এনজিও ছিল। লিজা ওই এনজিওর সভানেত্রী। সংস্থার ম্যানেজার ছিলেন দিপু নামের এক যুবক। ওই যুবকের সঙ্গে লিজার পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে ফেলায় তার ভাই জলিলকে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আবদুল জলিলকে শিকল দিয়ে ঘরে আটকে রাখার পাশাপাশি এ ঘটনা যাতে তিনি বাইরের কাউকে জানাতে না পারেন, সেজন্য চারদিন ধরে ১৩টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন তার শরীরে পুশ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার এবং জলিলকে উদ্ধার করে।

গত ১১ জুন স্বামীর পরকীয়ার কারণে রাজধানীর জুরাইনে মা তার দুই অবুঝ সন্তান নিয়ে একসঙ্গে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন। পূর্ব জুরাইনের আলমবাগ এলাকায় সাংবাদিক শফিকুল কবিরের বাসার বেডরুম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হচ্ছেন সাংবাদিক শফিকুল কবিরের ছেলে রাশেদুল কবিরের স্ত্রী ফারজানা কবির রীতা (৩৫) এবং তার দুই সন্তান কবির ইশরাত পবন (১৩) ও মেয়ে রাইসা রেশমি পায়েল (১১)। নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা অভিযোগ করেন, রীতার স্বামী রাশেদুল কবিরের সঙ্গে স্মৃতি নামে তার এক আত্মীয়ার পরকীয়া ছিল। দেড় বছর আগে তিনি ওই মেয়েকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয়বার বিয়ের ঘটনাটি ছয় মাস আগে পরিবারের অন্যান্য সদস্য এ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এ কারণে দুই সন্তানসহ আত্মহননের পথ বেছে নেন রীতা। এ ঘটনায় শফিকুল কবির, তার ছেলে রাশেদ ও স্মৃতিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর আগে পরকীয়ার কারণে রাজধানীর আদাবর এলাকায় গত ২৪ জুন পাঁচ বছরের শিশু সামিউলকে মায়ের সামনেই হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়শা হুমায়রা ও প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনার কিছুদিন পরই গত ৪ আগস্ট খিলগাঁও এলাকায় মায়ের পরকীয়ার কারণে খুন হয় সাড়ে তিন বছরের শিশু তানহা। শিশুটির লাশ গুম করার জন্য ফ্লাটের কার্নিশ থেকে নিচে ফেলে দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল করিম রাজু ও ইয়াসমানি তমাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। নিহত তানহার বাবা ফারুক গাজী সাংবাদিকদের বলেন, পরকীয়ার কারণেই তার জীবনে এ মর্মান্তিক অবস্থার সৃষ্টি হলো।

ইভ টিজিংয়ের শাস্তি দিলো আদালত

ইভটিজিং রোধে আদালত গতকাল ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুরে ৪ ইভটিজারকে কারাদণ্ড দিয়েছেঝিনাইদহে ভ্রাম্যমাণ আদালত রুবেল নামের এক ইভটিজারকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ইভটিজিং করার অভিযোগে ২ স্কুল ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে। অন্যদিকে, শরীয়তপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এক যুবককে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, রাস্তায় জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ইভটিজিং করার সময় ঝিনাইদহে ভ্রাম্যমাণ আদালত রুবেল (২০) নামে এক ইভটিজারকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে সদর থানার ওসি ছগির মিঞা জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করছিল ওই ইভটিজারএ সময় ঝিনাইদহ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র মো. রুবেলকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশপরে ইভটিজিং প্রতিরোধে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজেবুর রহমান জানান, মেয়েটি অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা দিতে আসছিলঘটনার সময় মেয়েটির ভাই প্রতিবাদ করলে ইভটিজার রুবেল তাকে ছুরিকাঘাত করে

গোপালগঞ্জ ও মুকসুদপুর প্রতিনিধি জানান, মুকসুদপুরে এক স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগে স্কুলছাত্র মঞ্জু সিকদারকে ২০ দিন ও দুলাল শেখকে  ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে মোবাইল কোর্টগতকাল বিকাল ৫টায় মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ রায়হান তাদেরকে এ সাজা প্রদান করেনথানার ওসি একেএম লিয়াকত আলী জানিয়েছেন- মুকসুদপুর থানার জলিরপাড় ইউনিয়নের বানিয়ারচর গ্রামের জলিরপাড় স্কুলের এসএসসি পরিক্ষার্থী মল্লিকা চক্রবর্তী গতকাল সকালে এসএসসির ফরম পূরণ করতে স্কুলে যাচ্ছিলবেলা ১১টায় সে বানিয়ারচর খেয়াঘাটে পৌঁছলে জলিরপাড় গ্রামের স্কুলছাত্র মুঞ্জু সিকদার ও একই গ্রামের দুলাল সেখ মোবাইল দিয়ে মল্লিকার ছবি তোলেমল্লিকা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে তারা ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শাসিয়ে দেয়কিন্তু মল্লিকা ঘটনাটি মহিলা ইউপি সদস্য শিপ্রা মহন্তসহ এলাকার লোকজনকে জানায়বিষয়টি  সমাধান করার জন্য শিপ্রা উভয়কে নিয়ে বৈঠকে বসেনবৈঠক চলাকালে মল্লিকাকে চুল ধরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে দুলালের বোন লাকীখবর পেয়ে সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ফারুক ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুঞ্জু ও দুলাল সেখকে গ্রেপ্তার করেবিকাল ৫টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ রায়হান ঘটনাস্থলে পৌঁছে মঞ্জু সিকদারকে ২০ দিন ও দুলাল সেখকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেএ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান রবিউল আলম, থানার ওসি একেএম লিয়াকত আলী ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন


শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধনই গ্রামের রবিন সরদার ইভটিজিংয়ের দায়ে শাস্তি পেয়েছেনইভটিজিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রবিনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেনশরীয়তপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম উপল ভট্টাচার্য গতকাল বেলা ১১টায় এ রায় দেনমামলা সূত্রে জানা গেছে, বখাটে রবিন সরদার ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্কুলে যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্ত করতএ ঘটনা নিয়ে এলাকায় সালিশ-দরবার হলেও রবিন তার বখাটেপনা থেকে নিবৃত্ত হয়নিগত ২৩শে জুন ডামুড্যা থানার পুলিশ উত্ত্যক্ত করার সময় রবিনকে হাতেনাতে আটক করে২৪শে জুন ডামুড্যা থানার সহকারী উপপরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন বাদী হয়ে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন৩রা জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়২৬শে আগস্ট মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়৫ই অক্টোবর আদালত অভিযোগ গঠন করে২০শে অক্টোবর থেকে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ করেঅভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল আদালত রবিনকে এ শাস্তি দেন