আমার ব্লগ তালিকা

শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১০

ইভ টিজিং প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইভ টিজিং প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে করে নিরীহ মানুষ হয়রানীর স্বীকার হতে পারে বলেও অভিমত কারো কারো। সাধারণ মানুষ মনে করেন, ইভটিজিং প্রতিরোধে নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি নারীদের শালীনতা বজায় রাখাও জরুরী। 

বর্তমান ইভটিজিং নামের ঘাতকটি, দেশে মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এর কালো থাবায় অকালেই ঝরে গেছে অনেক তাজা প্রাণ। অনৈতিক শিক্ষা ও অপসংস্কৃতিই ইভটিজিং-এর জন্য দায়ী বলে অনেকের অভিমত। খোদ রাজধানীতে বেড়ে গেছে অসামাজিক কার্যকলাপ। ব্যস্ততম রাস্তার পাশে চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা রমনা পার্কে চলছে তরুণ-তরুণীদের অবাধ মেলামেশা। যুগের সাথে তাল মেলানোর যুক্তি দেখিয়ে খোলামেলা পোষাক পরছেন অনেকেই। আর এখানে ওখানে সিনেমার অশ্লীল পোস্টার তো ঝুলছেই। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইভটিজিং এর পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে এসব অপ-সংস্কৃতিক হালচাল।

শুধু ছেলেদের দোষারোপ না করে মেয়েদেরও শালীন হবার পরামর্শ দিলেন অনেকে। ইভটিজিং প্রতিরোধে সম্প্রতি মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ আদালত সাজা দেয়ার পর আপিল করারও কোন বিধান রাখা হয়নি। ফলে, অনেক নিরাপরাধ লোক হয়রানির শিকার হচ্ছেন—মন্তব্য মানবাধিকার কর্মী ও ইভটিজিং সংক্রান্ত মামলার আইনজীবী ফাহিমা নাসরিনের।

অবিলম্বে ইভটিজিং প্রতিরোধে ভারসাম্যপূর্ণ আইন ও নৈতিক শিক্ষা চালুর দাবি করলেন এই নারী নেত্রী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন