আমার ব্লগ তালিকা

মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১০

জয়পুরহাটে তরুণী উত্যক্ত প্রতিরোধে মার্শাল-আর্ট প্রশিক্ষণ


Rqcyinv‡U ÔZi“Yx D˨³ cÖwZ‡iv‡a gvk©vj-AvU© cÖ‡qvMÕ wel‡q GK cÖwk¶Y Kg©kvjvi D‡Øvab Kiv n‡q‡Q| G mgq e³viv e‡jb, ÔBfwUwRs GKwU mvgvwRK e¨vax| ZvB, ïay AvBb K‡i bq, BfwUwRs cÖwZ‡iv‡a cvwievwiK I mvgvwRK m‡PZbZv e„w×i cvkvcvwk bvix‡`i‡K Av‡iv cÖwZev`x nIqvi Avnevb Rvbvb e³viv|

g½jevi `ycy‡i Avj‡niv GKv‡Wgx cÖv½‡b IB cÖwk¶Y Kg©kvjvi D‡Øvabx Abyôv‡b e³e¨ iv‡Lb- cywjk mycvi †gvRv‡¤§j nK, evsjv‡`k Ry‡Wv †dWv‡ik‡bi mn mfvcwZ Avãyj Kvw`i, ‡Rjv AvÕjx‡Mi mn mfvcwZ Aa¨¶ LvRv mvgmyj Bmjvg cÖgyLmn Ab¨vb¨iv|

বখাটের উৎপাতে ভোলায় এবার মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা

এবার বখাটের উপাতে ভোলায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে  গত সপ্তাহের রোববার নিজ ঘরে ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে জাকিয়া বেগম (১৭) নামের ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করে জাকিয়া তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কেয়ামুল্যা গ্রামের সফিউল্ল মিস্ত্রির মেয়েসে চাঁদপুর ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার আলেম ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল  নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে এলাকার বখাটে মুরাদ তাকে উত্ত্যক্ত করতবিষয়টি মুরাদের অভিভাবককে জানানো হলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে  এ অবস্থায় জাকেয়ার পরিবার তার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়এতে, মুরাদ জাকিয়ার বিরুদ্ধে নানা কুসা রটানোর হুমকি দেয়  তজুমদ্দিন থানার ওসি আব্দুর রশিদ ভূইয়া বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছেমামলার প্রস্তুতি চলছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, মেয়েটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে  প্ররোচণাকারী মুরাদ পলাতক রয়েছে বলেও তিনি জানান নিহতের ভাই ইউসুফ হোসেন বলেন, "বখাটের উপাতের কারণে জাকিয়ার পড়ালেখা বন্ধ করে বিয়ে ঠিক করেছিকিন্তু তাতেও মুরাদের উপাত বন্ধ হয়নিসে আমার বোনকে বাঁচতে দিল না।"

বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১০

একাধিক প্রেম ও সহিংসতা

রাজধানীতে অনেক মেয়েরাই একইসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক প্রেম। মেয়েদের প্রতি পুরুষের দূর্বলতার সুযোগটাই গ্রহণ করছে তারা। সবার কাছে তারা যেন এক নি:ষ্প্রাপ নারী। সবার কাছ থেকেই সুযোগ ও সুবিধা নিয়ে থাকে তারা। এক্ষেত্রে, তারা আশ্রয় নেয় মিথ্যা আর ছলনার। আর এরকম মেয়েদের পাল্লায় পড়ে অনেক সরল ছেলেরা হারায় তাদের সময় আর অর্থ। অনেক সময় মেয়েদের ছলনার এসব খবর জানতে পেরে মেয়েদেরকে হত্যা পর্যন্ত করে ফেলে কেউ কেউ। কয়েকটি ঘটনার মাধ্যমে তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো—
একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেম ছিল আসমা আক্তার মণির। চাঁদপুর সরকারি থেকে ১ম বর্ষ শেষ করে তিতুমীর কলেজে ২য় বর্ষে ভর্তি হয় মণি। নানা ছলচাতুরিতে বশে রাখে অনেককে। ঢাকায় আসার আগেই চাঁদপুর থাকতেই প্রেম করেছে অনেকের সাথে। আর ঢাকায় আসা চাকরীর সুবাধে। আর এখানে এসেও চালায় একাধিক পুরুষের সাথে প্রেম।  একেক সময় সে একেক জন নিয়ে ডেটিং করতো। চাকুরীতে আসা যাওয়া ও কলেজের আসা-যাওয়ার পথে তাকে সঙ্গ দেয় বিভিন্ন পুরুষ। সবার কাছ থেকে সে বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা আদায় করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুড়ুয়া ছেলে ইমনকে এরইমধ্যে কাবু করে ফেলেছে সে। ছেলের বাড়ি অন্য জেলায়। তাতে কি? তার কাছ থেকে সুযোগ নেয়া তো যাবে—এমন চিন্তা মণির।
হোস্টেলের বান্ধবীর বয় ফেন্ড লিটনের এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয় মণির। তার সাথেও চলে মণির ভাব। কিন্তু, কোন এক দিন ড্রিংস করার কারণে তাদের সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।
এ ঘটনায় ইমনের সাথেও কিছুটা সম্পর্ক টান পড়ে মণির। এমন সময় হঠাৎ ফেসবুকে ইমনের লিস্টের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছেলে রিয়েলের সাথে। ছেলে হ্যান্ডসাম বলে তার সাথে আবার মণি শুরু করে প্রেম। এবার তাকে বলে আমি তোকে বিয়ে করবো। কিন্তু, রিয়েল, ইমনের বন্থু হওয়ায়, কয়েক দিন মণির সাথে যাতায়াতের খবর জানতে পারে ইমন। পরে, ইমন সব জানায় বন্ধু রিয়েলকে। পরে রিয়েল সরে আসে মণির কাছ থেকে।
এ অবস্থায় মণির সাথে পরিচয় ঘটে রিয়েলের আরেক বন্ধু চাঁদপুরের পলাশ। পলাশকে কিছুটা তথ্য জানায়-ইমন তোর এলাকার মেয়ে ঢাকা এসে সবার সাথে প্রেম করে বেড়াচ্ছে। এমন সব করছে। এ সুযোগ নেয় পলাশ। ইমনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মণির সাথে এবার নিজেই প্রেম শুরু করে পলাশ। বাড়িতে যাওয়া-আসার সময় লঞ্চের কেবিনে করে যাতায়াত করে তারা। হঠাৎ এসব জেনে যায় ইমন। চটে যায় মণির উপর। মণিও রেগে যায়। বলে তোর মতো ছেলে না হলে আমার চলবে। শুরু করে পলাশের সাথে গভীর প্রেম। এমন সময় পলাশ জানতে পারে-মণি অফিসেরও অনেকের সাথে প্রেম করছে। এমন সময় সে মণিকে হুমকি দেয়। এখন ভয়ে মণির পড়াশোনা বন্থ হওয়ার উপক্রম। এসব ঘটনা জেনে যায় মণির পরিবার। পরিবার ঢাকায় এসে মণির খোঁজ নেয়। তাতে, মণির দোষ ধরা পড়ে। তবে, গ্রামের সহজ সরল মেয়ে ঢাকায় এসে পরিবর্তন—তা বিশ্বাস করতে চায়নি তার পরিবার।
এরইমধ্যে, মণি একরাতে হোস্টেলের বাইরে থাকে। এ খবর জানতে পারে ইমন। ইমনকে নিয়ে নিয়ে অফিসে যায়। অফিসে চালায় তর্কাতর্কি। পরে, অফিস তাকে চাকুরীচ্যূত করে। এখন সব কিছু হারিয়ে মণি পাগল প্রায়—এক সময় আত্মহত্য করার চেষ্টা করে। এসময় মণিকে সহায়তার হাত বাড়ায় এক বন্ধু। তার চেষ্টায় কিছুটা জীবন পায় মণি---
মণির মতো এরকম অনেক মেয়ে আছে যারা এরকমভাবে অনেকের সাথে প্রেম করছে। আর ছেলেরা হচ্ছে বোকা। অনেক সময় এরকম ঘটনার কারণে সমাজে ঘটে ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা। ঘটে হত্যাসহ নানা রকম সহিংসতা। এরকম সহিংসতা সমাজ থেকে বন্ধ হোক-এমন প্রত্যাশা সবার।

মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১০

আমি ও আমাদের দুঃখ


মেয়েদের নিয়ে কত স্বপ্নই না বাবা মায়েরবড় হয়ে একদিন মা বাবার স্বপ্নপূরণ করবে তারাস্বপ্ন পূরণে অনেকে গ্রাম, গঞ্জ থেকে শহরে পারি জমায় ক্যারিয়ার তথা চাকরির উদ্দেশ্যেএক্ষেত্রে, মধ্য পরিবার, গরীব পরিবারের সংখ্যা কম নয়তবে বেশিরভাগই শহরে পারি জমায় ধনীর দুলালীরাকেউবা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়ে ভর্তি হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেতবে, সীমিত সুযোগ থাকায়, অনেককে ভর্তি হতে হয়, প্রত্যন্ত গ্রামেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েমনের কষ্ট চেপে তাই তারা আবার চেষ্টা করে প্রথম বর্ষ শেষ করে, দ্বিতীয় বর্ষে শহর বা ঢাকায় স্থানাস্তরিত হতেকিন্তু সবার কি স্বপ্ন পূরণ হয়কত বাঁধা, কত বিপদ, কত দুঃখ আর কষ্ট করে বড় হতে হয় মেয়েদেরঅনেকে আবার ঝড়ে পড়ে শহরের নানা বৈচিত্রময়, অজানা আর অকল্পিনীয় গল্পের মতো করেতার জ্বলন্ত উদাহরণ ইডেনের মেয়েদের বর্তমান হালচালআবার অনেকে আছেন যারা ইডেনে থাকেন না থাকেন কোন মেস, হোস্টেল বা বাসা বাড়ির সাবলেটেতারই একটি নমুনাছন্দ নামে কিছুটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হলো

মেয়েটির নাম মণিবাড়ি দরলাম কোন এক জেলা···বাবা মায়ের বড় মেয়েছোট ভাই আছে, চোখে কম দেখেতাই ভাইটিকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখার সুযোগ নেই মায়েরআছে ছোট্ট আরেক মেয়ে তবে তার হাতে সমস্যাঅনেকটা জন্ম থেকেই অবশ ছোট্ট মেয়েটিতাই বাবা মায়ের যেন সব স্বপ্ন মণিকে নিয়েমণিকে তাই গ্রামের ছোয়া না লাগিয়ে জেলা শহরে নানির বাড়ি থেকে পড়াশোনা করালো বাবা মাভাল ফল করলো এসএসসিতেতার ধারাবাহিকতা রইলো এইচএসসিতেওএবার উচ্চ শিক্ষার পালামেয়ে ভর্তি হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়েতবে নেই যথার্থ গাইডলাইনকে দেখাবে হালনিজের চেষ্টাই দুবার চেষ্টা করলো মেয়েটি ঢাবি, জাহাঙ্গীর নগরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েতবে ঠেকিয়ে রাখলো অগাধ প্রতিযোগিতাপিছনে পড়লো অনেকটামনের দুঃখ চেপেই রইল মেয়েটিরতবে চান্স পেলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েকিছুটা আশা নিয়ে প্রথম বর্ষ শেষ করলো সেদ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে অনেকটা আশা নিয়ে চেষ্টা করলো ঢাকায় আসারতবে ঢাকায় থাকার খরচ পাবে কোথায় বাবা মা তো বিয়ে দিয়ে বিদায় করলেই পারেঢাকা অনেক বড় ভাই আত্নীয় স্বজনের কাছ থেকে কিছু একটা করার চিন্তা করলোঅনেকে দেখালো পার্ট টাইম বা কোন ছোট খাট চাকরি করার কিছু সুযোগভাগ্যের কারণে চেহারা ভাল থাকায় শহরের চাকরি ভাগ্যে জুটলো মেয়েটিরঅনেক আশা নিয়ে পাড়ি দিলো ঢাকায়আসলো ইডেন কলেজে ভর্তি হতে

তবে মেয়েটি থাকবে কোথায়টাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা আবাসনকথায় বলে--- বাবা তুমি এক পেট খেয়ে যাও তাও ভাল তবে থাকবে দিতে পারবো নাঅনেকটাই সত্যি ঢাকা শহরেএক বড় ভাইকে বলে একটা হোস্টেল ম্যানেজ করা গেলস্থান ফার্মগেট, তেঁজকুণিপাড়াঅনেক ম্যাসই গড়ে উঠেছে এখানেতবে মেয়েদের মেসের সংখ্যা নেহায়েতই কমআর যেগুলো আছে গাদা গাদি করে থাকতে হয় মেয়েদেরঅনেকে আবার থাকে নিচে ও উপরে করেঢাকায় এক ফ্লাটে দুতলা করে থাকে এমন আবাসন আমার মনে হয় মেয়েদেরই কপালেতবে পড়বে না কেন  কেউ তো মেয়েদের থাকার জন্য বাসা দিতে চায় নাঅনেকে কোন মতে একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে তা আবার মেস বানিয়ে ডবল হারে ব্যবসা করছেএ ব্যবাসা থেকে আবার জীবিকা নির্বাহ করছে অনেকেতাই মেয়েদের উপর তো চাপ পড়বেইএসব মেসের বা হোস্টেলের সমস্যার কথা কি বলবোখেলেও না খেলেও টাকা প্রতি মাসে স্থায়ী তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার দিতেই হবেনেই ভাল বাথরুম, পানি সমস্যা, গ্যাস নেই, বিদুø তো থাকেই নাখাবারের মান একতরফাযা দিবে তাই খেতে হবেআর কিছু নিজে থেকে কিনতে গেলে অনেক দামএতো গেলো হোস্টেলের অবস্থাচাকুরি করতে যেয়ে, গাড়ি দিয়ে আসা এবং যাওয়ায় কত দুষ্ট লোকের খপ্পরে পড়তে হয় তারঅনেক সময় গাড়িতে না উঠতে পেরে ফার্মগেট থেকে শাহবাগ আসে ৬০ টাকা দিয়েআবার শাহবাগ থেকে ফার্মগেট যায় ৮০ টাকা দিয়েতারপর চাকরি করতে যেয়ে কলিকদের সাথে আচার ব্যবহার চাল চলন, কথা বার্তায় কেমন যেন সবাই একটু খাটাতে চায়গ্রামের বলে সরলতার সুযোগ নেইএকটু ভুল হলেও ধমকঅনেকের আবার দূরের আত্নীয় ঢাকায় আছেন দীর্ঘদিন ধরেএলাকা থেকে নতুন কেউ ঢাকায় এসেছে শোনে আকে উঠে তারাতুই ঢাকায় আসলি আর জানালি নাতারাও নানা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেএদিক সেদিক বুদ্ধি দেয়কিছুটা ভাল কিছুটা মন্দএভাবেই চলে দিন কালতবু থমে যায়নি দিনবড় হতে হবে স্বপ্ন অনেক বুকে

মেসের সহপাঠীদের কেউ একেক জন একেক জেলারএকেক ধরনের মন মানসিকতাতারপরও অসহায় হয়ে চলতে হয় মেয়েদের সাথেএদের কেউ আবার প্রেম করে বয় ফ্রেন্ড আছেকেউ আবার ঢাকায় এসে লুকিয়ে বিয়ে করে বাবা মাকি না জানিয়েএমনই একজন জুট ছদ্দ নাম লিটন, নদীতার লুকিয়েই বিয়ে করেছেছেলে তিতুমীরে তৃতীয় বর্ষে, মেয়ে ইডেনে তৃতীয় বর্ষেভালই জমে উঠছে লুকিয়ে বিয়ে করার মজামাঝে মাঝে ঝগড়া হয়অনেকে বলে এদের সংসারটা হয়তো ভেঙ্গেই যাবেতবে ভাঙ্গা আর গড়ার মধ্যেই চলছে দিনকাল

এমনই এক জুটির কবলে পড়ে সদ্য ৩ মাস হলো নানা সমস্যায় পড়ে বড় হওয়া গ্রামের অসহায় মেয়ে মণিজুটিদের হাতে নেয় টাকা, তাই নানা রকম ফন্দি আটে টাকা কামানোরযেমন করেই হোক প্রেমের বিয়ে বিজয়ী হতে হবেতাই হাতে নেই নানা ধান্দাঅসহায় মণি বুঝতে পারেনি তাদের ফন্দিপ্রায় হোস্টেলে নদীর কাছে আসে লিটনতবে তার সাথে আসে মামা নামের কেউমামা শহরের বড় ব্যবসায়ীবসবাস লিটনের সাথে একটি সাবলেট বাসায়একসাথে থাকার কারণেই প্রায়ই মামা আসে লিটনের সাথেতবে একদিন হোস্টেলে এসে নদীর বান্ধবী গ্রামের মণির সাথে পরিচয় হয়মনের অজান্তেই মণিকে ভাল লেগে যায় মামারআটে নানা ফন্দিতারপর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দেখা করতে আসে মামামামা বলে জানো আমি কেন আসি প্রতিদিনকেবল মণিকে দেখতেমণিকে একদিন সরাসরি অফার দেয় মামাআমি তোকে বিয়ে করতে চায়তোর সাথে প্রেম করতে চায়মণির সব সময় নাগ্রামের গরীর ঘরের মেয়ে বাবা মায়েই ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হবে না 

তবে মামার ফন্দি মণিকে আমার চাইই চাইনদী আর লিটনকে ম্যানেজ করে সেযত টাকাই লাগুক নাএকদিন নদী বলে মণি চল তোকে আজ এক জায়গায় নিয়ে যাবোকোথায় বলা যাবে নাদেখবিইতোমণি বলে না বল কোথায়নদী বলে লিটনের বাসায়তো লিটন নদীর লুকিয়ে বিয়ে করা জামাই যেহেতু সেখানে যাওয়াতো যেতেই পারেএদিকে, দুই তিন মাসে হোস্টেলে যাতায়াতে লিটনকে দুলোভাই আর মামার সাথে বেশ সখ্য গড়ে উঠে মণিরতাই নদীর প্রস্তাবটা ফেলতে পারেনা মণিতবে, মামা কথা মনে নেই মণিরলিটনের বাসা মহাখালিতে তিুতুমীর কলেজের পিছনের একটা সাবলেটেসন্ধ্যায় বেরিয়ে গেলো দুজনবিকেলের নাস্তা করে অনেক গল্পের এক পর্যায়ে মামা বলে বসলো চল আজ আমরা ব্যতিক্রম ধরনের একটা কিছু করিএজন্য ড্রিংস মানে বেয়ার খাওয়া যেতে পারেমণি জানে বেয়ার কিকিছুই কৌতুহল তো থাকতেই পারেতাই ৪ জনে রেস্টুরেন্ট থেকে বড় এক বোতল বেয়ার নিলোসব নিয়ে আসলো বাসায়২ মেয়েকে খাওয়ালো ৩ পিক করেআর তাতে তারা হয়ে গেল সেন্সলেসএগুলো খাবার পর থেকে কিছুই বলতে পারেনি নদী ও মণিতবে লিটন ও মামা খায় একটা করেতাদের কোন সমস্যা হয়নিতারপর মেয়ে দুটো সারারাত আর রাত পার হয়ে সকাল পর্যন্ত অচেতন ছিল

এদিকে, কোন ভাই, মণিকে খোঁজ নেয় হোস্টেলেমেসের কেউ বলতে পারে না মণি আর নদী কোথায়হোস্টেল কর্তৃপক্ষও জানে না মেয়েরা কোথায়অনেক খোঁজাখুজির পর সকালে নদী আসলো হোস্টেলে বলে রাতে ছিলাম আত্মীয়ের বাসায়এদিকে মণি যায় সকাল ৯টায় অফিস থাকলেও সাড়ে ১০টায়অফিসেও ধরা এতো দেরি হলো কেনহোস্টেলের চাপএরইমধ্যে বাসায় জানাজানি হয়ে যায় মণি হোস্টেলে রাতে ছিল নাকথা শুনে সেদিনই অভিভাবক আসে ঢাকায়সব শুনে বলে আমার মেয়ে মণির উচ্চ শিক্ষার দরকার নেইআমি আমার মেয়েকে হারাতে চাই নাআমার জেলাতেই থাকতে চাইদরকার নাই উচ্চ শিক্ষারতারপর ইডেনে আর ভর্তি হওয়া হয়ে উঠলো না মণিরবাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে চলে গেল গ্রামেসেখানেই পড়াশোনা শুরুহয়তো একটা বিয়ে দিয়ে বাকী কাজটা সারতে চায় বাবা মাকি আর করবে মণিজীবনে না বুঝে ভুল করেছেসেজন্য বাবা মায়ের কথাতো মানতেই হবে  তবে, মণি আর বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ ব্যর্থ করতে দায়ী কেএ সমাজনাকী স্বার্থপর চরিত্রহীনা লিটন আর মামা টাইপের কিছু ব্যক্তিএ প্রশ্নই আমাদের মতো সচেতন মহলেরএরকম অনেক স্বপ্ন ধুলিস্বা হয়ে যায় মণির মতোঢাকা শহরের আধুনিক ছোঁয়া আর অস চরিত্রের লোকের কাছে ধরা পড়ে নিজের স্বতিত্ব আর মান মর্যাদা হারিয়ে ফেলছে আজকের উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীরা

আশা করি আমি ও আমাদের এসব অপ্রকাশিত দুঃখ ও কষ্টগুলো দূর করতে মেয়েদের প্রয়োজনীয় হোস্টেল তৈরী, মেয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো, মেয়েদের বাজেট বাড়ানো, আনাচে কানাচে গড়ে ওঠা হোস্টেলগুলোর জন্য আইন তৈরীসহ নানা সুবিধা বাড়াতে সরকার, প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবেদূর হবে আমি ও আমাদের দুঃখ এ আশা একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে করতেই পারি 

বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১০

এবার ইভটিজারদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত শেরপুরের মাদ্রাসা ছাত্রী মৌসুমী।

ইভটিজারদের ছুরিকাঘাতে এবার গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শেরপুরের নালিতাবাড়ির অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মৌসুমী আক্তার। সে এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। খবর শুনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ড. দীনা হক তাকে দেখতে আসেন। এসময় মৌসুমীর চিকিসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে জানান, তার চিকিসার ব্যয় ভার প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন।

জানা যায়, কুতুবাকুড়া গ্রামের সামছুল হকের মেয়ে মৌসুমী মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে একই গ্রামে বখাটেরা উত্যক্ত করতো। সম্প্রতি তার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় গত সোমাবার রাতে বখাটে সোহেল মিয়া ও তার সঙ্গীরা মৌসুমীকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।

সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১০

এবার বরগুনায় সুমার হাত ও পা কেটে নিলো বখাটেরা

বাবাকে সাথে নিয়ে ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে শনিবার সকালে স্থানীয় চেরাগ আলী হাওলাদারের বাড়ির সামনে রহিম সিকদারের ছেলে মহসিন (৩০) দা দিয়ে সুমার ডান পা কেটে ফেলেএ সময় সুমার ডান হাতটিও অর্ধেক কেটে যায়পরবর্তীতে তাকে রাজধানীর ট্রমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়

ঘটনায় রোববার রাতে বরগুনার উপ-পরিদর্শক শাহ নেওয়াজের নেতৃত্বে এসআই হাবিবুর রহমান, এসআই সাইদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন ঘটবাড়িয়া গ্রাম পুলিশ সহযোগিতায় ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে মহসিনকে গ্রেফতার করেন

এদিকে, আজ সকালে বরগুনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহসিন-সুমার পা কাটার কথা স্বীকার করেছেসে বলেছে, সুমার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলসুমা সম্পর্ক অস্বীকার করেএরপর সুমা তাকে জুতা পেটা করতে চাওয়ায় সে তাকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায়

তবে, সুমাকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনসোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ট্রমা হাসপাতালে সুমাকে দেখতে যান তিনিতিনি সুমার চিকিসা বিষয়ে খোঁজ খবর নেন

রংপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা।


রংপুর চিড়িয়াখানায় গাছের আড়ালে-আবডালে, ঝোপের পাশে আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায় যুগলদের। কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে। আর সেই সুযোগে অশ্লীলতা চালায় তারা। এখানে রয়েছে আলো-আধারির রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরে রয়েছে বিশেষ ধরনের খাট। যেখানে কর্তৃপক্ষকে বাড়তি টাকা দিয়ে চালানো হয় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কিছুদিন আগেও অভিযান চালিয়ে এখান থেকে এক যুগলকে আটক করে পুলিশ।

রংপুরের বিনোদন স্পট হিসেবে সবার পরিচিত ভিন্ন জগত। ৩০ টাকায় টিকেট কিনে যে কেউ অতি সহজে ঢুকতে পারেন এখানে। এখানেও রয়েছে বিশেষ ধরনের রেস্ট হাউজ। যেখানে ঘন্টায় ৩শ‌ থেকে ২ হাজার টাকা ব্যয় করে সময় কাটানো যায় নিরাপদে। এছাড়াও বিভিন্ন স্পটে গাছের আড়ালে ও লেকের পাশে প্রকাশ্যেই চলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। গ্রাহকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে এখানেও নিরব থাকেন কতৃপক্ষ।

অন্যদিকে, রংপুরের গঙ্গাচরের লেক ও নদীর ধারের কথা সবারই জানা। এখানেও যুগলদের রয়েছে একান্ত মেলামেশার অবাধ সুযোগ।
এছাড়াও, ক্যান্টনমেন্টের পাশে বিশবেদগঞ্জ ও এর নদীর পাশের বাঁধের এলাকায় প্রকাশ্যেই চলে অশ্লীলতা। যুগলদের সারিবদ্ধভাবে আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়।

রংপুরের অন্যতম প্রাচীন দর্শণীয় স্থান তাজহাটের জমিদার বাড়ি ও জাদুঘরের আশ-পাশের এলাকায় অবাধেই চলে অশ্লীলতা। কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন কিছুই দেখে  না। তাই, এ সুযোগে যুগলরা প্রতিনিয়ত ভীড় করছে এখানে।

পীরগঞ্জের আনন্দ নগর নামক স্থানেও প্রতিদিনই ঘটছে বিভিন্ন রকমের অনৈতিক কর্মকাণ্ড এখানেও অধিকাংশ সময় যুগলদের আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়।

পাগলা পীর মোড়ে সিনেমা হলকে ঘিরেও চলে অশ্লীলতা। সম্প্রতি পুলিশ এখানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে।

শহরের বিভিন্ন মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, জেলা পরিষদ এলাকায় কমিউনিটি মার্কেটের সামনে সিসিলি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, সুরভী উদ্যানের সামনে কফি হাউজসহ এসব রেস্টুরেন্টের আলো-আধারীর মাঝে চলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড।

এছাড়াও রংপুরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়েও গড়ে উঠেছে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আস্তানা। এসব এলাকায় স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের যাতায়াতই বেশী। উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলো হলো—দেশী বাংলার পিছনে বাড়ি, ডিসির বাংলোর মোড়ের সার্কিট হাউজের পিছনে ভিআইপি রোডে দ্বিতল ভবনের দ্বিতীয় তলা, কামারপাড়া, কলেজ রোডের আশ্রম, সেনপাড়া, বেগম রোকেয়া কলেজের পাশে বিভিন্ন বাসা বাড়ি, আরসিসিআই স্কুলের সামনে এবং পিছনের বাসা বাড়ি, খাস বাগ, তাজহাট গলাকাটা মোড়ের আশ-পাশের বাসা বাড়ি, বাবু পাড়া, জুট মিলের আশ-পাশের বাসা বাড়ি, বাবু পাড়া জুট মিলের আশ-পাশের বাসা। এসব এলাকায় অবাধে চলে অশ্লীলতা।

শহরের বিভিন্ন হোটেলেও চলছে অশ্লীলতা। প্রেসক্লাবের পাশের ফ্রেন্ডস হোটেল, গোল্ডেন টাওয়ার, আরকে রোডের পর্যটন মোটেল, আওয়ামী লীগ অফিসের পাশের ঢাকা হোটেল, রাজ হোটেল, ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকার হোটেল, মর্ডান মোড়ের হোটেল ডায়মন্ড, শাহীমহল, অর্জন, মাম্পী, অবকাশ, সৌমিক, ট্রাক বাস স্ট্যান্ড এলাকার হোটেল বৈশাখী, সাত মাথা এলাকার সাত মাথা টাওয়ার, ধাপ মেডিকেল এলাকার বিজয় হোটেল।

এছাড়া, ধাপ মেডিকেল এলাকার টার্মিনাল, আরকে রোড এবং সিও বাজার এলাকার বিভিন্ন ক্লিনিকেও চলছে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের রমরমা বাণিজ্য।
শহরের বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে প্রকাশ্যেই চলে অশ্লীলতা।
অন্যদিকে, শহরের বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেতেও চলছে এসব কর্মকাণ্ড। 
এছাড়া শহরের টাউন হল এলাকার শহীদ মিনার, পাবলিক লাইব্রেরী মাঠ, টাউন হল চত্তরেও তরুণ-তরুণীরা আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকে।

এসব সামাজিক অবক্ষয়ের কারণেই ইভ টিজিংসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে বিবাহ-বিচ্ছেদ, চুরি-ছিনতাই, রাহাজানি ও হত্যাসহ অন্যান্য অপরাধ। অথচ প্রশাসনের একটু নজরদারিই পারে এসব এলাকাকে অসামাজিক কার্যকলাপ মুক্ত রাখতে। আর তা না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভয়াবহ সামাজিক অবক্ষয়ের কবলে পড়তে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১০

ইভ টিজিং প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইভ টিজিং প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে করে নিরীহ মানুষ হয়রানীর স্বীকার হতে পারে বলেও অভিমত কারো কারো। সাধারণ মানুষ মনে করেন, ইভটিজিং প্রতিরোধে নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি নারীদের শালীনতা বজায় রাখাও জরুরী। 

বর্তমান ইভটিজিং নামের ঘাতকটি, দেশে মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এর কালো থাবায় অকালেই ঝরে গেছে অনেক তাজা প্রাণ। অনৈতিক শিক্ষা ও অপসংস্কৃতিই ইভটিজিং-এর জন্য দায়ী বলে অনেকের অভিমত। খোদ রাজধানীতে বেড়ে গেছে অসামাজিক কার্যকলাপ। ব্যস্ততম রাস্তার পাশে চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা রমনা পার্কে চলছে তরুণ-তরুণীদের অবাধ মেলামেশা। যুগের সাথে তাল মেলানোর যুক্তি দেখিয়ে খোলামেলা পোষাক পরছেন অনেকেই। আর এখানে ওখানে সিনেমার অশ্লীল পোস্টার তো ঝুলছেই। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইভটিজিং এর পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে এসব অপ-সংস্কৃতিক হালচাল।

শুধু ছেলেদের দোষারোপ না করে মেয়েদেরও শালীন হবার পরামর্শ দিলেন অনেকে। ইভটিজিং প্রতিরোধে সম্প্রতি মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ আদালত সাজা দেয়ার পর আপিল করারও কোন বিধান রাখা হয়নি। ফলে, অনেক নিরাপরাধ লোক হয়রানির শিকার হচ্ছেন—মন্তব্য মানবাধিকার কর্মী ও ইভটিজিং সংক্রান্ত মামলার আইনজীবী ফাহিমা নাসরিনের।

অবিলম্বে ইভটিজিং প্রতিরোধে ভারসাম্যপূর্ণ আইন ও নৈতিক শিক্ষা চালুর দাবি করলেন এই নারী নেত্রী।

বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১০

ইভ টিজিং: এবার প্রাণ হারালেন চাঁদপুরের এক হতভাগ্য বাবা

এবার ইভ টিজিংয়ের শিকার হলেন এক হতভাগ্য বাবা। ইভ টিজিংকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে মেয়েকে বিয়ে দিয়েও শেষ রক্ষা পেলেন না চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মনির হোসেন সরকার। দুর্বৃত্ত আব্দুল হান্নান তাকে মঙ্গলবার রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। 

জানা গেছে, হান্নান নামের ওই দুর্বৃত্ত নিহত মনির হোসেনের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো প্রায়ই। বখাটে বলে মনির হোসেন তার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি না হওয়াটাই তার অপরাধ। আর তার জের ধরেই মনির হোসেনের প্রাণ কেড়ে নিল ওই নরপশু।

দেশজুড়ে চলছে ইভ টিজিং। কোনোভাবেই এ প্রবণতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও থামছে না ইভ টিজিংয়ের ঘটনা। বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট ইভ টিজিংকারীদের শাস্তি দেয়ার খবর আমরা প্রতিদিনই মিডিয়ায় পাচ্ছি। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং আমরা বলতে পারি, শাস্তিকে পরোয়া না করে দুর্বৃত্তরা ইভ টিজিং করেই চলছে। 

আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, বিষয়টিকে এখন আর ইভ টিজিং বলে হালকা করে দেখার অবকাশ নেই। এটি নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। একে প্রতিরোধ করার জন্য চাই আরো কঠোর আইন। সেইসাথে, ইভ টিজিংয়ের কারণও খতিয়ে দেখে একে সমাজ থেকে সমুলে ধ্বংস করে দিতে হবে বাঁচাতে হবে যুব সমাজকে।

আমরা ইভ টিজিংয়ের ঘটনায় আর কোন মৃত্যু দেখতে চাই না।

বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১০

আনুষ্ঠানিভাবে বিয়ে দেয়ার পরও মেয়েকে জামাই বাড়িতে না পাঠিয়ে বরং উল্টো অপহরণ মামলা করেছে কনেপক্ষ।

আনুষ্ঠানিভাবে বিয়ে দেয়ার পরও জামাইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছে কনেপক্ষ। সেইসাথে মেয়েকে আর শ্বশুর বাড়িতে পাঠাচ্ছেন না তারা। অপরদিকে, বরপক্ষও যেকোন মূল্যে ফিরে পেতে চায় কনেকে। বগুড়ার শেরপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা।
জানা যায়-বগুড়ার শেরপুরের সীমাবাড়ি ইউনিয়নের বেতগাড়ি গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে নাসিমা আক্তার নিঝুম ও সিরাজগঞ্জের আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় আত্মীয়তার সূত্রে। এক পর্যায়ে তারা ঢাকায় এসে পালিয়ে বিয়ে করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে- উভয়ের পরিবার শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েকে বাড়িতে এনে ধুমধাম করে বিয়ে দেয়। তবে, ৫ মাস সংসার করার পর একদিন মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসে আর জামাই বাড়িতে পাঠাচ্ছে না মেয়েপক্ষ। উল্টো জামাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছে তারা।
মেয়ে নাবালিকা বলে বিয়ে অস্বীকার করছে কনেপক্ষ। সেইসাথে মেয়েকে অনিচ্ছায় বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের। এ ঘটনা নিয়ে ছেলে ও মেয়ে পক্ষের মধ্যে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছেলের খালার উপর মেয়ে পক্ষের হামলারও অভিযোগ উঠেছে। মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রেমের এ বিয়েকে কেন্দ্র করে বিরোধে যেন এলাকায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে-সেদিকে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল।