বাবাকে সাথে নিয়ে ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে শনিবার সকালে স্থানীয় চেরাগ আলী হাওলাদারের বাড়ির সামনে রহিম সিকদারের ছেলে মহসিন (৩০) দা দিয়ে সুমার ডান পা কেটে ফেলে। এ সময় সুমার ডান হাতটিও অর্ধেক কেটে যায়। পরবর্তীতে তাকে রাজধানীর ট্রমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় রোববার রাতে বরগুনার উপ-পরিদর্শক শাহ নেওয়াজের নেতৃত্বে এসআই হাবিবুর রহমান, এসআই সাইদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন ঘটবাড়িয়া গ্রাম পুলিশ সহযোগিতায় ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে মহসিনকে গ্রেফতার করেন।
এদিকে, আজ সকালে বরগুনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহসিন-সুমার পা কাটার কথা স্বীকার করেছে। সে বলেছে, সুমার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সুমা সম্পর্ক অস্বীকার করে। এরপর সুমা তাকে জুতা পেটা করতে চাওয়ায় সে তাকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায়।
তবে, সুমাকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ট্রমা হাসপাতালে সুমাকে দেখতে যান তিনি। তিনি সুমার চিকিৎসা বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন