নারায়নগঞ্জ শহরের পার্শ্ববর্তী শীতলক্ষা নদীর তীর এলাকা ও নদীর উপরের নৌকাগুলোয় প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা। নদীর তীরের নিবিবিলি পরিবেশ আর নৌকায় রয়েছে নিরাপদ পরিবেশ। ঘন্টায় ১শ’ টাকা খরচ করেই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে চলে আসে এখানে। প্রকাশ্যে আপত্তিকর অবস্থায় বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে সময় কাটায় তারা।
ফতুল্লার ভাসমান হোটেল, যাকে বলে প্রমোদ তরী, মেরি এন্ডারসনের ভিতরে ও এর আশ-পাশের এলাকায়ও প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা। এখানে রয়েছে বার, রয়েছে বিশেষ কেবিন ও হোটেল। রয়েছে কিছু দালাল যাদের ৩শ’ থেকে ২ হাজার টাকা দিলে বিভিন্ন ধরনের জায়গার অশ্লীলতার ব্যবস্থা করে দেয়। সবাই জেনেই এখানে সময় কাটাতে আসে। আর ব্যাপক চাহিদা থাকায় দিন দিনই সবার গোচরেই এখানে চলছে অশ্লীলতা।
অন্যদিকে, প্রেম কানন হিসেবে খ্যাত নারায়নগঞ্জের খানপুর ২শ’ শয্যা হাসপাতাল বেশ পরিচিত। এখানে হাসপাতালের ভিতরে রয়েছে বিশাল বাগান। যার ভিতরে প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা। যুগলরা সারাদিন এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত এখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চালায়। সবাই দেখেও না দেখার ভান করে। যেন এগুলো তারা কিছুই বুঝে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কিছু বলে না।
এছাড়া, রূপগঞ্জের জিন্দা পার্কের ভিতরে গাছের আড়ালে-আবডালে ও ঝোপ-ঝাড়ের মাঝে চলছে অশ্লীলতা। যুগলসহ সব ধরনের লোকজন এখানে এসে প্রকাশ্যেই চালায় অসামাজিক কার্যকলাপ।
সোনারগাঁর যাদুঘরের পুকুর পাড়ের পূর্ব পাশ, লেকের পাড়, যাদুঘরের দক্ষিণ পাশের গাছের আড়ালে-আবডালেও আপত্তিকর অবস্থায় যুগলসহ পর্যটকদের বসে থাকতে দেখা যায়।
এসব অশ্লীলতার কবলে পড়ে যুবকরা হারাচ্ছে তাদের সীমাহীন সম্ভাবনা। পড়ছে বিভিন্ন সহিংসতার বেড়াজালে। বাড়তে সহিংস ভালবাসা। -- কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি এসব এলাকার অশ্লীলতা দূর করতে পারবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।
লেখাটা সুন্দর হয়েছে
উত্তরমুছুন